বিনোদন
উত্তমকুমার ভুল বুঝতে পেরেছিলেন কিন্তু ফেরার কোন উপায় ছিল না

একান্ন নম্বর আহিরিটোলা স্ট্রিট। অরুণ ওরফে উত্তমকুমার, বরুণ এবং তরুণ – তিন ভাইয়ের মামাবাড়ি। একদিন দাদামশাই কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বাড়িতে এলেন। বাড়ির সকলে তাঁকে ‘বাবাঠাকুর’ বলে ডাকত। অরুণ তখন খুব ছোট। তখনও তার নামকরণ হয়নি। ‘বাবাঠাকুর’ নাম রাখলেন ‘উত্তম’। অরুণের মায়ের সে নাম পছন্দ হল না। সংকোচ সত্তেও বাবাঠাকুরের কাছে মনের সংশয়ের কথা বলে ফেললেন। ‘এ কেমন নাম! কেমন যেন ওড়িয়াদের মত।’
বাবাঠাকুর বলেছিলেন, ‘দেখবি, ভবিষ্যতে এই নামই সবার মধ্যে ছড়িয়ে যাবে। লোকে তাদের সন্তানের নাম রাখবে এ ছেলের নামে।’ কপালে বাবাঠাকুরের স্পর্শ পেয়ে অরুণের ততক্ষণে ঘুম ভেঙেছে। কি আশ্চর্য! ছোট্ট ছেলে ঘুম থেকে উঠে অচেনা মানুষ দেখে একটুও কাঁদল না। উল্টে বাবাঠাকুরের মুখের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত ভাবে হাসল। বাবাঠাকুর বলে উঠলেন, ‘…এই হাসি দিয়ে তোর ছেলে একদিন ভুবন ভোলাবে।’ ছোটবেলায় এভাবেই অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায় হয়ে উঠেছিলেন উত্তমকুমার।
উত্তমকুমার নাম রেখেছিলেন তাঁর দাদামশাই কালীপ্রসন্ন যাকে বাড়ির সবাই ‘বাবাঠাকুর’ নামে ডাকত
অভিনয়ে উত্তমকুমারের উদয় হল কিভাবে? ছোট ভাই তরুণকুমার জানিয়েছেন, দাদা উত্তমকুমার জীবনে প্রথম অভিনয় করেছিলেন ‘মুকুট’ নামে একটি মঞ্চ নাটকে। বড়দের অভিনয় দেখে উৎসাহিত হয়ে উত্তমকুমার ঠিক করে বাড়ি ও পাড়ার কয়েকজন সমবয়সী ছেলে মিলে নাটক করবে। সে নাটকে বড়দের কোন সাহায্য নেওয়া হবে না। প্রথমে নাটক নির্বাচন। কে একজন রবীন্দ্রনাথের ‘মুকুট’ নাটক জোগাড় করল। সবাই মিলে হামলে পড়ল বইয়ের ওপর। অমরমাণিক্য, চন্দ্রমাণিক্য, ইন্দ্রকুমার, রাজধর – কত সব চরিত্র!
আরও পড়ুনঃ মহানায়ক উত্তমকুমার বাংলা ও বাঙালির সব থেকে বড় আইকন
শাড়ি, চাদর ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়েছে উইংস। ছেলেরা নাটক নিয়ে চরম ব্যস্ত। কিন্তু নাটক মঞ্চস্থ করতে গিয়ে এক জায়গায় বিপত্তি দেখা দিল। রাজার মুকুট তৈরি হবে কি করে? শেষে রঙিন কাগজ কেটে মুকুট বানিয়ে লুনার ক্লাবের তরফে নাটক মঞ্চস্থ হল। ক্লাব টিকেছিল বহু দিন। এক সময়ে জগদ্ধাত্রী পুজোয় গিরিশ মুখার্জি রোডে উত্তমকুমারের পাড়ায় দুটো নাটক হত। একটা বড়দের। আর একটা লুনার ক্লাবেন মানে উত্তমকুমারদের। মুকুট নাটকের পরে লুনার ক্লাব থেকে মঞ্চস্থ হয়েছিল কচি সংসদ, গুরুদক্ষিণা, ডাকঘর ইত্যাদি অনেক নাটক। প্রায় সব নাটকে উত্তমকুমার থাকতেন মুখ্য ভূমিকায়।
ছোটবেলায় উত্তমকুমার ভাল সাঁতারু ছিলেন। বয়স আর কত? মেরেকেটে বছর বারো-তেরো। ভর্তি হলেন পদ্মপুকুরের ভবানীপুর সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবে। গিরিশ মুখার্জি রোডের বাড়ি থেকে পদ্মপুকুর এমন কিছু দূর নয়। অ্যাসোসিয়েশনের বাৎসরিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় উত্তমকুমার পরপর দুই বছর দ্বিতীয় হলেন। বাস, আর যায় কোথায়! অন্য কেউ হলে হয়ত এই দ্বিতীয় হওয়াটাকে কোন গুরুত্ব দিত না। কিন্তু উত্তমকুমার ছিলেন ভিন্ন ধাতুতে গড়া। কেন তিনি দ্বিতীয় হবেন? প্রথম নয় কেন? চ্যালেঞ্জ নিলেন উত্তমকুমার। তৃতীয় বছর ওই একই প্রতিযোগিতায় উত্তমকুমার প্রথম হলেন। পরের দু’ বছর যথাক্রমে পনেরো ও ষোল বছর বয়সিদের বিভাগেও উত্তমকুমার প্রথম হলেন। অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ম ছিল পরপর তিন বছর কেউ প্রথম হলে তার হাতে তুলে দেওয়া হবে চ্যাম্পিয়ন কাপ। উত্তমকুমার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এমনই ছিল তাঁর অদম্য জিদ।
ভাল সাঁতারু ছিলেন উত্তম হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন জীবনে প্রথম মঞ্চে ‘মুকুট’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন
সংসারের দায়িত্ব সামলাতে উত্তমকুমার পোর্ট কমিশনারের অফিসে চাকরি নিয়েছিলেন। ছিলেন ট্র্যাফিক ক্যাশিয়ার। এর বাইরে ডকেও ডিউটি পড়ত মাঝে মধ্যে। বড়মামা বলেছিলেন, উত্তমের কপালে এ চাকরি কেন, কোন চাকরিই সইবে না। চাকরি করতে করতে সন্ধেবেলা ডালহৌসির গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে পড়তেন। আবার নিদান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখতেন। উত্তমকুমারের জীবনে চল্লিশের দশক খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জীবনে সেই সময় ঘটে যাওয়া তিনটে ঘটনার প্রভাব ছিল অপরিসীম।
প্রথম ঘটনা যদি চাকরি হয়, তবে দ্বিতীয় ঘটনা ছিল গৌরী দেবির সঙ্গে প্রেম। উত্তমকুমার-গৌরী দেবীর প্রেম নিয়ে একটা মজার ঘটনা আছে। উত্তমকুমার আর তরুণকুমার রাতে পাশাপাশি ঘুমোতেন। শীতের ভোরে একদিন হঠাৎ তরুণকুমারের চুলে জব্বর একটা হ্যাঁচকা টান। তরুণকুমার তো ‘কে রে’ বলে চেঁচিয়ে উঠেছেন। কানে এলো মেয়েলি গলা – ‘আমি গোরী, চুপ চুপ!’ গৌরী পাড়ার মেয়ে। মুখ চেনা। উত্তমকুমারদের বাড়িতে দিব্যি আসাযাওয়া ছিল। উত্তমকুমারের জ্যাঠতুতো বোন অন্নপূর্ণার বন্ধু। তার সঙ্গেই সে আসত এ বাড়িতে। তরুণকুমার সবে শুনেছেন, গৌরীর সঙ্গে নাকি দাদা উত্তমকুমারের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তরুণকুমারকে থামিয়ে গৌরী বলে উঠলেন, ‘ভুল হয়েছে। ভেবেছিলাম, তোমার দাদা…’
‘বসু পরিবার’ থেকে ঘুরে দাঁড়ানো ফ্লপ মাস্টার জেনারেল বদনাম ঘুচিয়ে নায়ক তার থেকে মহানায়ক হয়ে ওঠা
‘সহযাত্রী’, ‘ওরে যাত্রী’, ‘নষ্টনীড়’, ‘সঞ্জীবনী’ – জীবনের প্রথম চারটে ছবি ফ্লপ। উত্তমকুমারের নাম হয়েছিল ফ্লপ মাস্টার জেনারেল। ‘বসু পরিবার’ হিট করতে ঘুচে গিয়েছিল সে বদনাম। বাকি তো ইতিহাস! জনপ্রিয়তার চূড়ান্ত শিখরে থাকা মহানায়কের জীবনে কিন্তু একটু একটু করে ভাঙন দেখা দিচ্ছিল। একদিন শুটিং থেকে বাড়ি ফিরে তরুণকুমার শুনলেন, ভিতরের ঘরে দাদা-বৌদির মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি চলছে। হঠাৎ উত্তমকুমারের গলায় শোনা গেল, ‘ ন্যাপা, গাড়ি বের কর।’ পরে বৌদির মুখে তরুণকুমার শুনেছিলেন, যাওয়ার আগে উত্তমুকমার বলে গিয়েছেন, আর ফিরবেন না…। সেদিন উত্তমকুমার সারা রাত গঙ্গার ধারে কাটিয়ে ভোর হতে সুপ্রিয়া দেবীর বাড়িতে চলে যান। ভবানীপুরের বাড়িতে আর একটি রাতও কাটাননি।
বেশি দিন নয়, মাত্র মাস ছয়েক বাদে এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যে উত্তমকুমারকে স্বীকার করতে হয়েছিল, তিনি ভুল করেছেন। মহানায়ক য়খন সামান্য কেরানি ছিলেন, চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য যখন দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছেন, তখন সর্বক্ষণ গৌরী ছিলেন উত্তমকুমারের পাশে। তবে নিজের ভুল বুঝতে পেরেও ভুল শোধরানোর আর কোন উপায় ছিল না। ফিরে আসার সব পথ তিনি নিজেই বন্ধ করে ফেলেছিলেন।
বিনোদন
মোনালি বলেছিলেন তিনি বিবাহিত কিন্তু সত্যি কি তাই

জন্ম ০৩ নভেম্বর ১৯৮৫
কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত
পিতা শক্তি ঠাকুর
মাতা মিনতি ঠাকুর
দিদি মেহুলি ঠাকুর
জীবন সঙ্গী মাইখ রিখটার (অসমর্থিত)
সাল ২০২০। একটি জনপ্রিয় সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রের পাতা। সে পাতায় ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। ২০২০ সালে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে মোনালি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি বিবাহিত। তার তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে তিনি নাকি বিয়ে করেছেন। পাত্র এক সুইডিশ রেস্তোরাঁ মালিক। নাম মাইক রিখটার।
২০১৭ থেকে ২০২০। তিন বছর মোনালি তাঁর বিয়ে গোপন করেছিলেন। না কোন সংবাদ মাধ্যম। না কোন সমাজ মাধ্যম। কোথাও প্রকাশিত হয়নি মোনালির বিয়ের খবর। বিয়ের আংটি কখনও ভুলবশত ইনস্টাগ্রামে দেওয়া ছবিতে দেখা যেত। তার থেকে অনেকে মোনালির বিয়ের খবর জানতে উৎসুক থাকতেন। কিন্তু মাইক এবং মোনালি দুজনেই অত্যন্ত সফল ভাবে তাঁদের বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল
এবার আসা যাক আর একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্রের প্রসঙ্গে। তারিখ ১ আগস্ট ২০১৭। সেখানেও ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। শুরুতে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু মোনালি বিয়ের খবর অস্বীকার করেছেন। বলেছিলেন, ‘বিয়ে নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কি আছে? বিয়ে হলে জানাবেন।’ এমন কি বয়ফ্রেণ্ডের নাম পর্যন্ত বলতে চাননি। কেন এত গোপনীয়তা, সেটা মোনানিই বলতে পারবেন।
মোনালি শক্তি ঠাকুরের ছোট মেয়ে। জন সমক্ষে প্রথম আবির্ভাব গায়িকা রূপে। অভিনয় তার পরে। বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘আলোকিত এক ইন্দু’তে প্রথম অভিনয়। মুখ্য চরিত্র ইন্দুবালার ভূমিকায়। এরপর অভিনয় করেছেন আরও দু-একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে। এক দিন রাজা সেন প্রস্তাব দিলেন তাঁর ছবিতে অভিনয়ের জন্য। ছবির নাম ‘কৃষ্ণকান্তের উইল।’ মোনালিকে, রাজা সেন ভ্রমরের চরিত্রে ভেবেছিলেন।
বিনোদন
টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল

দীপক ওরফে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের এক সফল অভিনেতা এবং পরিচালক। তিনি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট শায়লা চক্রবর্তীর ছেলে। এছাড়াও তিনি একজন রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য।
চলচ্চিত্র তালিকা
| সাল | চলচ্চিত্র/ ধারাবাহিক | চরিত্র | মন্তব্য/পুরস্কার |
| ১৯৮১ | সোনায় সোহাগা | অভিনেতা | |
| ১৯৮৯ | মর্যাদা | পরিচালক | |
| ১৯৯৪ | ফিরিয়ে দাও | পরিচালক | |
| ১৯৯৫ | কেঁচো খুঁড়তে কেউটে | অভিনেতা এবং পরিচালক | |
| ১৯৯৫ | সংসার সংগ্রাম | পরিচালক | |
| ১৯৯৬ | ভয় | পরিচালক | |
| ২০০০ | বস্তির মেয়ে রাধা | পরিচালক | |
| ২০০২ | মানুষ অমানুষ | পরিচালক | |
| ২০১৪ | চতুষ্কোণ | অভিনেতা | |
| ২০১৬ | ষড়রিপু | অভিনেতা | |
| ২০১৬ | কিরীটী রায় | কিরীটী রায় | অভিনেতা (নাম ভূমিকা) |
আরও পড়ুন: পদ্মিনীর নাচ দেখে রাজ কাপুর তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন
বিনোদন
নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে

ছোটবেলায় নাচতে ভালো লাগত। আশাজি সম্পর্কে মামি। মামির গান খুব পছন্দ। মামির গানে নাচতে দারুণ লাগে। নাচের মুদ্রা কিন্তু নিজস্ব। সে মুদ্রা কেউ শেখায়নি। গান আশাজির, স্টেপ নিজের। কোন এক অনুষ্ঠানে, পদ্মিনী এভাবেই নাচছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ কাপুর। দেখছিলেন পদ্মিনীর নাচ। নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে। পদ্মিনীর তখন কি এমন বয়স। বলিষ্ঠ স্বরে বলেছিলেন, আমি তো অভিনয় করি। এই আত্মবিশ্বাস রাজের ভালো লেগেছিল। পদ্মিনী মনে করেন, সম্ভবত এই কারণে রাজ কাপুর তাঁকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিতে নিয়েছিলেন।
পিতা পন্ধরীনাথ কোলহাপুরী। মা নিরুপমা কোলহাপুরী। তিন বোনের মধ্যে পদ্মিনী কোলহাপুরী দ্বিতীয়। বড় বোন শিভাঙ্গী কোলহাপুরীকে বিয়ে করেছেন শক্তি কাপুর। ছোট বোন তেজস্বিনী কোলহাপুরীও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
পদ্মিনীর ঠাকুরদা পণ্ডিত কৃষ্ণ রাও কোলহাপুরী এবং লতাজি, আশাজির পিতা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ‘বলবন্ত নাটক আকাদেমি’তে এক সাথে কাজ করেছেন। পদ্মিনীর মা নিরুপমা (পন্ধরীনাথের স্ত্রী) ছিলেন পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের সৎ বোন। সেই সূত্রে, পদ্মিনী আবার লতাজি এবং আশাজির ভাগ্নী।
আরও পড়ুন: ঋষিকেশ বহিরাগত হয়েও বলিউডে জায়গা করে নিয়েছিলেন
পদ্মিনীর মা নিরুপমা ছিলেন কোঙ্কণী ব্রাহ্মণ সন্তান। বসবাস ছিল কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে। বাবার তরফে, পদ্মিনীর পূর্ব পুরুষের বসবাস ছিল মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে। মূলত পিতৃ সূত্রে, পদ্মিনীর নামের সাথে যুক্ত হয়েছে কোলহাপুর।
মধ্যবিত্ত মহারাষ্ট্রীয় কোঙ্কণী পরিবারের সন্তান, পদ্মিনীর ছোট বেলা কেটেছে প্রবল দারিদ্রের মধ্যে। পদ্মিনী দেখেছে, সংসার চালাতে বাবা কেমন হিমশিম খেতেন। আয় বাড়াতে, পন্ধরীনাথ গান শেখাতে শুরু করেছিলেন। তাতে অবশ্য সংসারের হাল ফিরেছিল। তবে তা সেরকম কিছু নয়।

