বিনোদন
অগ্নিপরীক্ষার অপর্ণা ওরফে সোনালী এখনও কাজ খোঁজেন

জন্ম: ১৩ অক্টোবর ১৯৮০
বেহালা, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
জীবন সঙ্গী: রজত ঘোষ দস্তিদার
মেগা সিরিয়াল চলছে এটিএন বাংলা চ্যানেলে। নাম ‘মামা ভাগ্নে।’ পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। সিরিয়ালে, অঞ্জনের দুই মেয়ে চুমকি আর রিনাও অভিনয় করছে। রিনার বান্ধবীর চরিত্রে, অঞ্জন সুযোগ দিলেন সোনালীকে। নবাগতা অভিনেত্রী। প্রথম দিন দাঁড়িয়েছে ক্যামেরার সামনে। কিন্তু দারুণ সাবলীল। বিন্দু মাত্র নার্ভাস নয়। অভিনয়ের সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ পথ চলা। ভাস্বর চ্যাটার্জীর সঙ্গে জুটি। জি বাংলার অগ্নিপরীক্ষা সিরিয়াল। সময় কাল ২০০৯ থেকে ২০১৪। অপর্ণা দেবরায়ের চরিত্রে সোনালী। খুব নাম হল। দর্শক দারুণ পছন্দ করল। কি আশ্চর্য! অগ্নিপরীক্ষার অপর্ণা ওরফে সোনালী এখনও কাজ খোঁজেন।
শুভ জন্মদিন: সোনালী চৌধুরী
বেহালায় থাকেন অঞ্জন চৌধুরী। সোনালীও থাকে বেহালায়। অঞ্জনের পদবী চৌধুরী। সোনালীও চৌধুরী। বাসস্থান আর পদবী। মিল শুধু এই দুটিতে। আর পরিচিতি? নাঃ, তাতে কোন মিল নেই। অঞ্জন চৌধুরী ইতিমধ্যে কিংবদন্তী। আর সোনালী? তাকে কেউ চেনে না। সে নিতান্ত মধ্যবিত্ত এক পরিবারের মেয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ শিখছে। কত্থক শিখছে ডলি চক্রবর্তীর কাছে। লোকনৃত্য শেখাচ্ছে বটু পাল। আর আদিত্য মিত্র শেখাচ্ছে সৃজনশীল নাচ। ঠিক এই সন্ধিক্ষণে, অঞ্জনের চোখে পড়েছিলেন সোনালী।
আরও পড়ুন: এবার রিনাদি সরাসরি আঙুল তুলেছেন ফেডারেশনের দিকে
চলচ্চিত্র তালিকা
| মাধ্যম | নাম | সাল |
| চলচ্চিত্র | শিবা | ২০০২ |
| কে আপন কে পর | ২০০৩ | |
| শক্তি | ২০০৪ | |
| অগ্নি | ||
| ছ-এ ছুটি | ২০০৯ | |
| টার্গেট | ২০১০ | |
| বাই বাই ব্যাংকক | ২০১১ | |
| ৮:০৮ এর বনগাঁ লোকাল | ২০১২ | |
| আমার পৃথিবী | ২০১৫ | |
| দোতারা | ২০১৯ | |
| বিদ্রোহিণী | ২০২০ | |
| কর্নেল | মুক্তি পায়নি | |
| কাট ইট | মুক্তি পায়নি | |
| টেলিভিশন | খেলা (জি বাংলা) | ২০০৭ |
| ষোল আনা (কালারস বাংলা) | ২০০৯-২০১৩ | |
| রাজা ও গজা (জি বাংলা) | ||
| অগ্নিপরীক্ষা(জি বাংলা) | ২০১৭ | |
| সাত ভাই চম্পা (জি বাংলা) | ||
| বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধি | ||
| কুন্দ ফুলের মালা (স্টার জলসা) | ||
| ইচ্ছে নদী (স্টার জলসা) | ||
| জল নূপুর (স্টার জলসা) | ||
| মা (স্টার জলসা) | ||
| কাজল ভ্রমরা | ||
| হাত বাড়ালেই বন্ধু | ||
| ষোল আনা | ||
| রইলো ফেরার নিমন্ত্রণ (স্টার জলসা) | ||
| কি আশায় বাঁধি খেলাঘর | ||
| নীড় ভাঙা ঝড় | ||
| অসম্ভব | ||
| খেলা (জি বাংলা) | ||
| রাজা ও গজা (জি বাংলা) | ||
| নিজের জন্যে শোক (ডিডি বাংলা) | ||
| কনে বউ |
বিনোদন
মোনালি বলেছিলেন তিনি বিবাহিত কিন্তু সত্যি কি তাই

জন্ম ০৩ নভেম্বর ১৯৮৫
কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত
পিতা শক্তি ঠাকুর
মাতা মিনতি ঠাকুর
দিদি মেহুলি ঠাকুর
জীবন সঙ্গী মাইখ রিখটার (অসমর্থিত)
সাল ২০২০। একটি জনপ্রিয় সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রের পাতা। সে পাতায় ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। ২০২০ সালে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে মোনালি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি বিবাহিত। তার তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে তিনি নাকি বিয়ে করেছেন। পাত্র এক সুইডিশ রেস্তোরাঁ মালিক। নাম মাইক রিখটার।
২০১৭ থেকে ২০২০। তিন বছর মোনালি তাঁর বিয়ে গোপন করেছিলেন। না কোন সংবাদ মাধ্যম। না কোন সমাজ মাধ্যম। কোথাও প্রকাশিত হয়নি মোনালির বিয়ের খবর। বিয়ের আংটি কখনও ভুলবশত ইনস্টাগ্রামে দেওয়া ছবিতে দেখা যেত। তার থেকে অনেকে মোনালির বিয়ের খবর জানতে উৎসুক থাকতেন। কিন্তু মাইক এবং মোনালি দুজনেই অত্যন্ত সফল ভাবে তাঁদের বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল
এবার আসা যাক আর একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্রের প্রসঙ্গে। তারিখ ১ আগস্ট ২০১৭। সেখানেও ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। শুরুতে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু মোনালি বিয়ের খবর অস্বীকার করেছেন। বলেছিলেন, ‘বিয়ে নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কি আছে? বিয়ে হলে জানাবেন।’ এমন কি বয়ফ্রেণ্ডের নাম পর্যন্ত বলতে চাননি। কেন এত গোপনীয়তা, সেটা মোনানিই বলতে পারবেন।
মোনালি শক্তি ঠাকুরের ছোট মেয়ে। জন সমক্ষে প্রথম আবির্ভাব গায়িকা রূপে। অভিনয় তার পরে। বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘আলোকিত এক ইন্দু’তে প্রথম অভিনয়। মুখ্য চরিত্র ইন্দুবালার ভূমিকায়। এরপর অভিনয় করেছেন আরও দু-একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে। এক দিন রাজা সেন প্রস্তাব দিলেন তাঁর ছবিতে অভিনয়ের জন্য। ছবির নাম ‘কৃষ্ণকান্তের উইল।’ মোনালিকে, রাজা সেন ভ্রমরের চরিত্রে ভেবেছিলেন।
বিনোদন
টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল

দীপক ওরফে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের এক সফল অভিনেতা এবং পরিচালক। তিনি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট শায়লা চক্রবর্তীর ছেলে। এছাড়াও তিনি একজন রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য।
চলচ্চিত্র তালিকা
| সাল | চলচ্চিত্র/ ধারাবাহিক | চরিত্র | মন্তব্য/পুরস্কার |
| ১৯৮১ | সোনায় সোহাগা | অভিনেতা | |
| ১৯৮৯ | মর্যাদা | পরিচালক | |
| ১৯৯৪ | ফিরিয়ে দাও | পরিচালক | |
| ১৯৯৫ | কেঁচো খুঁড়তে কেউটে | অভিনেতা এবং পরিচালক | |
| ১৯৯৫ | সংসার সংগ্রাম | পরিচালক | |
| ১৯৯৬ | ভয় | পরিচালক | |
| ২০০০ | বস্তির মেয়ে রাধা | পরিচালক | |
| ২০০২ | মানুষ অমানুষ | পরিচালক | |
| ২০১৪ | চতুষ্কোণ | অভিনেতা | |
| ২০১৬ | ষড়রিপু | অভিনেতা | |
| ২০১৬ | কিরীটী রায় | কিরীটী রায় | অভিনেতা (নাম ভূমিকা) |
আরও পড়ুন: পদ্মিনীর নাচ দেখে রাজ কাপুর তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন
বিনোদন
নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে

ছোটবেলায় নাচতে ভালো লাগত। আশাজি সম্পর্কে মামি। মামির গান খুব পছন্দ। মামির গানে নাচতে দারুণ লাগে। নাচের মুদ্রা কিন্তু নিজস্ব। সে মুদ্রা কেউ শেখায়নি। গান আশাজির, স্টেপ নিজের। কোন এক অনুষ্ঠানে, পদ্মিনী এভাবেই নাচছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ কাপুর। দেখছিলেন পদ্মিনীর নাচ। নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে। পদ্মিনীর তখন কি এমন বয়স। বলিষ্ঠ স্বরে বলেছিলেন, আমি তো অভিনয় করি। এই আত্মবিশ্বাস রাজের ভালো লেগেছিল। পদ্মিনী মনে করেন, সম্ভবত এই কারণে রাজ কাপুর তাঁকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিতে নিয়েছিলেন।
পিতা পন্ধরীনাথ কোলহাপুরী। মা নিরুপমা কোলহাপুরী। তিন বোনের মধ্যে পদ্মিনী কোলহাপুরী দ্বিতীয়। বড় বোন শিভাঙ্গী কোলহাপুরীকে বিয়ে করেছেন শক্তি কাপুর। ছোট বোন তেজস্বিনী কোলহাপুরীও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
পদ্মিনীর ঠাকুরদা পণ্ডিত কৃষ্ণ রাও কোলহাপুরী এবং লতাজি, আশাজির পিতা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ‘বলবন্ত নাটক আকাদেমি’তে এক সাথে কাজ করেছেন। পদ্মিনীর মা নিরুপমা (পন্ধরীনাথের স্ত্রী) ছিলেন পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের সৎ বোন। সেই সূত্রে, পদ্মিনী আবার লতাজি এবং আশাজির ভাগ্নী।
আরও পড়ুন: ঋষিকেশ বহিরাগত হয়েও বলিউডে জায়গা করে নিয়েছিলেন
পদ্মিনীর মা নিরুপমা ছিলেন কোঙ্কণী ব্রাহ্মণ সন্তান। বসবাস ছিল কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে। বাবার তরফে, পদ্মিনীর পূর্ব পুরুষের বসবাস ছিল মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে। মূলত পিতৃ সূত্রে, পদ্মিনীর নামের সাথে যুক্ত হয়েছে কোলহাপুর।
মধ্যবিত্ত মহারাষ্ট্রীয় কোঙ্কণী পরিবারের সন্তান, পদ্মিনীর ছোট বেলা কেটেছে প্রবল দারিদ্রের মধ্যে। পদ্মিনী দেখেছে, সংসার চালাতে বাবা কেমন হিমশিম খেতেন। আয় বাড়াতে, পন্ধরীনাথ গান শেখাতে শুরু করেছিলেন। তাতে অবশ্য সংসারের হাল ফিরেছিল। তবে তা সেরকম কিছু নয়।

