বিনোদন
কলকাতার সরু গলিতে গায়ে গা লাগানো বাড়ির ছাদ থেকে ছাদে প্রেম লুকোচুরি খেলে
লাল ফিতে দিয়ে বিনুনি বাঁধা, মেহুলের দু’ চোখ জুড়ে শুধু বাবাই। মেধাবী ছাত্র বাবাইয়ের কাছে টিউশন পড়ে মেহুল। দুষ্টুমিষ্টি টিউশনের স্মৃতি উপচে মেহুলের চোখে ভেসে ওঠে বাবাইয়ের সাথে কাটানো বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত। বাবাইয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে থাকে মেহুলের। হোলির আগে একদিন বাবাই বলে, মেহুলকে তার কিছু বলার আছে। খুশিতে পাগল হয় মেহুল। ধরে নেয়, হোলির দিন বাবাই নিশ্চয় মেহুলকে প্রেম নিবেদন করবে। সিঁদুর মেশানো আবীর নিয়ে মেহুল অপেক্ষা করতে থাকে ছাদে। সব ওলটপালট করে দিয়ে, মেহুলের সাথে, গার্লফ্রেণ্ড সায়ন্তিকাকে, পরিচয় করিয়ে দেয় বাবাই। মেহুলকে সিঁদুর মেশানো আবীরে রাঙিয়ে, বাবাই অবলীলায় বলে চলে কিভাবে সায়ন্তিকার সাথে এত দিন ধরে তার প্রেম গড়ে উঠেছে। সব শুনে, এক ছুটে বেরিয়ে যায় মেহুল। ঘরে ফিরে আসে মেহুল, উপুড় হয় বিছানায়, মুখ গুঁজে দেয় বালিশে।
পড়াশোনায় মন দেয় মেহুল। স্কুল থেকে ফেরার পথে, একদিন বাবাইয়ের সাথে দেখা। বাবাই একটা চিঠি দেয় মেহুলকে। চিঠি নিতে ইচ্ছে ছিল না মেহুলের, তাও নেয়। কয়েক মাস পরে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। দেখা গেল, মেহুল খুব ভাল নাম্বার পেয়েছে। মার্কশিট নিয়ে বাড়ি ফেরার পর খবর আসে, বাবাই আত্মহত্যা করেছে। মেহুল পাগলের মত ছুটে যায় বাবাইদের বাড়ি। ফিরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এত দিন বাবাইয়ের চিঠি পড়া হয়নি। আজ সেই চিঠি পড়ে, সব জানতে পারে। একমাত্র মেহুলই তাকে বিশ্বাস করবে, এ কথা ভেবে, মৃত্যুর আগে বাবাই, শুধু মেহুলকেই চিঠি লিখে সব কিছু জানিয়েছিল।
এবার প্রতিশোধের পালা। যতই সায়ন্তিকার সাথে প্রেম থাক বাবাইয়ের, যেদিন সিঁদুর মেশানো আবীর দিয়ে মেহুলের মাথা রাঙিয়েছিল বাবাই, সেদিনই তো দুজনের বিয়ে হয়ে যায়। স্ত্রীর কর্তব্য যে মেহুলকে পালন করতে হবে! নাহলে বাবাই যে ন্যায় বিচার পাবে না।
প্রযোজক-পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর ছবি ‘পরিণীতা’র চিত্রনাট্য লিখেছেন পদ্মনাভ। কাহিনীকার প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার এবং অর্ণব ভৌমিক। রাজ চক্রবর্তীর ছবিতে বরাবর প্রেমের একটা ট্রাজিক পরিণতি থাকে। যারা এখনও দেখেননি, তারা আর একবার শুভশ্রী, ঋত্বিকের অনবদ্য অভিনয়ে সমৃদ্ধ এ ছবিতে, রাজের সেই টিপিকাল টাচ দেখতে পাবেন। ছবিতে নিজের লেখা কথায় সুর করেছেন অর্ক। গানে শ্রেয়া। দুটি গানে অর্ক নিজেও গলা দিয়েছেন।
বিনোদন
মোনালি বলেছিলেন তিনি বিবাহিত কিন্তু সত্যি কি তাই

জন্ম ০৩ নভেম্বর ১৯৮৫
কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত
পিতা শক্তি ঠাকুর
মাতা মিনতি ঠাকুর
দিদি মেহুলি ঠাকুর
জীবন সঙ্গী মাইখ রিখটার (অসমর্থিত)
সাল ২০২০। একটি জনপ্রিয় সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রের পাতা। সে পাতায় ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। ২০২০ সালে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে মোনালি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি বিবাহিত। তার তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে তিনি নাকি বিয়ে করেছেন। পাত্র এক সুইডিশ রেস্তোরাঁ মালিক। নাম মাইক রিখটার।
২০১৭ থেকে ২০২০। তিন বছর মোনালি তাঁর বিয়ে গোপন করেছিলেন। না কোন সংবাদ মাধ্যম। না কোন সমাজ মাধ্যম। কোথাও প্রকাশিত হয়নি মোনালির বিয়ের খবর। বিয়ের আংটি কখনও ভুলবশত ইনস্টাগ্রামে দেওয়া ছবিতে দেখা যেত। তার থেকে অনেকে মোনালির বিয়ের খবর জানতে উৎসুক থাকতেন। কিন্তু মাইক এবং মোনালি দুজনেই অত্যন্ত সফল ভাবে তাঁদের বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল
এবার আসা যাক আর একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্রের প্রসঙ্গে। তারিখ ১ আগস্ট ২০১৭। সেখানেও ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। শুরুতে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু মোনালি বিয়ের খবর অস্বীকার করেছেন। বলেছিলেন, ‘বিয়ে নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কি আছে? বিয়ে হলে জানাবেন।’ এমন কি বয়ফ্রেণ্ডের নাম পর্যন্ত বলতে চাননি। কেন এত গোপনীয়তা, সেটা মোনানিই বলতে পারবেন।
মোনালি শক্তি ঠাকুরের ছোট মেয়ে। জন সমক্ষে প্রথম আবির্ভাব গায়িকা রূপে। অভিনয় তার পরে। বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘আলোকিত এক ইন্দু’তে প্রথম অভিনয়। মুখ্য চরিত্র ইন্দুবালার ভূমিকায়। এরপর অভিনয় করেছেন আরও দু-একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে। এক দিন রাজা সেন প্রস্তাব দিলেন তাঁর ছবিতে অভিনয়ের জন্য। ছবির নাম ‘কৃষ্ণকান্তের উইল।’ মোনালিকে, রাজা সেন ভ্রমরের চরিত্রে ভেবেছিলেন।
বিনোদন
টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল

দীপক ওরফে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের এক সফল অভিনেতা এবং পরিচালক। তিনি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট শায়লা চক্রবর্তীর ছেলে। এছাড়াও তিনি একজন রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য।
চলচ্চিত্র তালিকা
| সাল | চলচ্চিত্র/ ধারাবাহিক | চরিত্র | মন্তব্য/পুরস্কার |
| ১৯৮১ | সোনায় সোহাগা | অভিনেতা | |
| ১৯৮৯ | মর্যাদা | পরিচালক | |
| ১৯৯৪ | ফিরিয়ে দাও | পরিচালক | |
| ১৯৯৫ | কেঁচো খুঁড়তে কেউটে | অভিনেতা এবং পরিচালক | |
| ১৯৯৫ | সংসার সংগ্রাম | পরিচালক | |
| ১৯৯৬ | ভয় | পরিচালক | |
| ২০০০ | বস্তির মেয়ে রাধা | পরিচালক | |
| ২০০২ | মানুষ অমানুষ | পরিচালক | |
| ২০১৪ | চতুষ্কোণ | অভিনেতা | |
| ২০১৬ | ষড়রিপু | অভিনেতা | |
| ২০১৬ | কিরীটী রায় | কিরীটী রায় | অভিনেতা (নাম ভূমিকা) |
আরও পড়ুন: পদ্মিনীর নাচ দেখে রাজ কাপুর তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন
বিনোদন
নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে

ছোটবেলায় নাচতে ভালো লাগত। আশাজি সম্পর্কে মামি। মামির গান খুব পছন্দ। মামির গানে নাচতে দারুণ লাগে। নাচের মুদ্রা কিন্তু নিজস্ব। সে মুদ্রা কেউ শেখায়নি। গান আশাজির, স্টেপ নিজের। কোন এক অনুষ্ঠানে, পদ্মিনী এভাবেই নাচছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ কাপুর। দেখছিলেন পদ্মিনীর নাচ। নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে। পদ্মিনীর তখন কি এমন বয়স। বলিষ্ঠ স্বরে বলেছিলেন, আমি তো অভিনয় করি। এই আত্মবিশ্বাস রাজের ভালো লেগেছিল। পদ্মিনী মনে করেন, সম্ভবত এই কারণে রাজ কাপুর তাঁকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিতে নিয়েছিলেন।
পিতা পন্ধরীনাথ কোলহাপুরী। মা নিরুপমা কোলহাপুরী। তিন বোনের মধ্যে পদ্মিনী কোলহাপুরী দ্বিতীয়। বড় বোন শিভাঙ্গী কোলহাপুরীকে বিয়ে করেছেন শক্তি কাপুর। ছোট বোন তেজস্বিনী কোলহাপুরীও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
পদ্মিনীর ঠাকুরদা পণ্ডিত কৃষ্ণ রাও কোলহাপুরী এবং লতাজি, আশাজির পিতা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ‘বলবন্ত নাটক আকাদেমি’তে এক সাথে কাজ করেছেন। পদ্মিনীর মা নিরুপমা (পন্ধরীনাথের স্ত্রী) ছিলেন পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের সৎ বোন। সেই সূত্রে, পদ্মিনী আবার লতাজি এবং আশাজির ভাগ্নী।
আরও পড়ুন: ঋষিকেশ বহিরাগত হয়েও বলিউডে জায়গা করে নিয়েছিলেন
পদ্মিনীর মা নিরুপমা ছিলেন কোঙ্কণী ব্রাহ্মণ সন্তান। বসবাস ছিল কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে। বাবার তরফে, পদ্মিনীর পূর্ব পুরুষের বসবাস ছিল মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে। মূলত পিতৃ সূত্রে, পদ্মিনীর নামের সাথে যুক্ত হয়েছে কোলহাপুর।
মধ্যবিত্ত মহারাষ্ট্রীয় কোঙ্কণী পরিবারের সন্তান, পদ্মিনীর ছোট বেলা কেটেছে প্রবল দারিদ্রের মধ্যে। পদ্মিনী দেখেছে, সংসার চালাতে বাবা কেমন হিমশিম খেতেন। আয় বাড়াতে, পন্ধরীনাথ গান শেখাতে শুরু করেছিলেন। তাতে অবশ্য সংসারের হাল ফিরেছিল। তবে তা সেরকম কিছু নয়।

