বিনোদন
Nutan birth anniversary a proud son feels mom in heart

Nutan birth anniversary, she would have been eighty five today. পঁচাশিতম জন্মদিনে, মাকে স্মরণ করেছেন অভিনেতা পুত্র। আজ মহনিশ বহলের ইনস্টাগ্রাম পেজের প্রতি সব নেটিজেনের চোখ। শাড়িতে অসাধারণ লাগছে নুতনকে। দর্শকদের বাকরুদ্ধ করা এক অসাধারণ হাসি তাঁর মুখে। ছবিটি শেয়ার করে মহনিশ লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন, মা’ । নুতনের জন্ম ১৯৩৬ সালের ৪ জুন। কবি-নির্দেশক কুমারসেন সমর্থ এবং চলচ্চিত্র নায়িকা শোভনার চার সন্তানের মধ্যে নুতন বড়। ‘Happy Birthday, Ma’ শিরোনামে স্মৃতির পাতা থেকে অভিনেত্রী নুতনের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন।
nutan birth anniversary মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে নতুন অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন
Nutan and Tanuja were real sisters নুতন এবং তনুজা ছিলেন আপন সহোদর বোন
ছোটবেলায় নুতন বেশ রোগা ছিলেন। তাঁর পরের দুই বোন যথাক্রমে তনুজা এবং চতুরা। সবার ছোট ভাইয়ের নাম জয়দীপ। জয়দীপের জন্মের আগে নুতনের বাবা মা আলাদা হয়ে যান। ১৯৫০ সালে শোভনাজির নির্দেশনায় ‘হামারি বেটি’ ছবিতে অভিনয় দিয়ে নুতনের অভিনয় জীবনের শুরু। সে ছবি বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করতে পারেনি। পরের বছর ‘নাগিনা’ এবং ‘হামলোগ’ আরও দুটি ছবিতে অভিনয় করেন নুতন। ছবি ভাল না চলায়, শোভনাজি, পড়াশোনার জন্য মেয়েকে সুইজারল্যান্ড পাঠিয়ে দেন। এক বছর সুইজারল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করেছিলেন নুতন। ওই এক বছরের স্মৃতি তাঁর কাছে ভীষণ প্রিয়। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিলেন, ‘It was the happiest time in my life’
‘আমার বাবা ভিখিরি’ অকপটে বলেছিলেন মধুবালা
Mohnish Bahl was Nutan’s only son. নুতন বিয়ে করেছিলেন নৌসেনার কম্যান্ডার রজনীশ বহলকে
রজনীশ বহল ছিলেন ভারতীয় নৌসেনার লেফটেনান্ট কম্যান্ডার। রজনীশ এবং নুতনের একমাত্র সন্তান মহনিশ বহল। মহনিশের মেয়ের নামের সাথে ঠাকুমা নুতনের আশ্চর্য মিল আছে। মহনিশের মেয়ে প্রানুতন নিজেও অভিনেত্রী। ১৯৯০ সালে নুতনের ক্যানসার ধরা পড়ে। অসুস্থ হয়ে পড়লে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সে সময় নুতন ‘গরজনা’ এবং ‘ইনসানিয়াত’ ছবি দুটিতে অভিনয় করছিলেন। ক্যানসার দেরিতে ধরা পড়ার কারণে তাঁকে সুস্থ করে তোলা যায়নি। অবশেষে…
Nutan died of cancer in February 1991 মাত্র চুয়ান্ন বছর বয়সে দুরারোগ্য ক্যানসারে প্রয়াত হন নুতন
শরীরে বাসা বেঁধেছিল দুরারোগ্য ক্যানসার। ১৯৯১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। এই দিনটিতে মাতৃহারা হয়েছিলেন মহনিশ। গত বছর নুতনের প্রয়াণ দিবসে মাকে স্মরণ করেছিলেন মহনিশ। লিখেছিলেন, ‘মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন’। ’29 years…seems like yesterday’ । একই ভাবে এ বছরেও মায়ের প্রয়াণ দিবসে লিখেছেন ‘21.02.1991…Your presence is always felt’
Nutan was Kajal’s aunt নুতন ছিলেন কাজলের বড় মাসি
সারা জীবনে সত্তরটিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন নুতন। তাঁর বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে সুজাতা (১৯৫৯), ম্যায় তুলসী তেরে আঙ্গন কি (১৯৭৮)। সওদাগর (১৯৭৩) ছবিতে নুতনের বিপরীতে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। পারিবারিক সম্পর্কে নুতন ছিলেন কাজলের মাসি। কাজলের মা তনুজা এবং নুতন ছিলেন আপন সহোদর বোন।
বিনোদন
মোনালি বলেছিলেন তিনি বিবাহিত কিন্তু সত্যি কি তাই

জন্ম ০৩ নভেম্বর ১৯৮৫
কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত
পিতা শক্তি ঠাকুর
মাতা মিনতি ঠাকুর
দিদি মেহুলি ঠাকুর
জীবন সঙ্গী মাইখ রিখটার (অসমর্থিত)
সাল ২০২০। একটি জনপ্রিয় সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রের পাতা। সে পাতায় ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। ২০২০ সালে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে মোনালি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি বিবাহিত। তার তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে তিনি নাকি বিয়ে করেছেন। পাত্র এক সুইডিশ রেস্তোরাঁ মালিক। নাম মাইক রিখটার।
২০১৭ থেকে ২০২০। তিন বছর মোনালি তাঁর বিয়ে গোপন করেছিলেন। না কোন সংবাদ মাধ্যম। না কোন সমাজ মাধ্যম। কোথাও প্রকাশিত হয়নি মোনালির বিয়ের খবর। বিয়ের আংটি কখনও ভুলবশত ইনস্টাগ্রামে দেওয়া ছবিতে দেখা যেত। তার থেকে অনেকে মোনালির বিয়ের খবর জানতে উৎসুক থাকতেন। কিন্তু মাইক এবং মোনালি দুজনেই অত্যন্ত সফল ভাবে তাঁদের বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল
এবার আসা যাক আর একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্রের প্রসঙ্গে। তারিখ ১ আগস্ট ২০১৭। সেখানেও ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। শুরুতে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু মোনালি বিয়ের খবর অস্বীকার করেছেন। বলেছিলেন, ‘বিয়ে নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কি আছে? বিয়ে হলে জানাবেন।’ এমন কি বয়ফ্রেণ্ডের নাম পর্যন্ত বলতে চাননি। কেন এত গোপনীয়তা, সেটা মোনানিই বলতে পারবেন।
মোনালি শক্তি ঠাকুরের ছোট মেয়ে। জন সমক্ষে প্রথম আবির্ভাব গায়িকা রূপে। অভিনয় তার পরে। বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘আলোকিত এক ইন্দু’তে প্রথম অভিনয়। মুখ্য চরিত্র ইন্দুবালার ভূমিকায়। এরপর অভিনয় করেছেন আরও দু-একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে। এক দিন রাজা সেন প্রস্তাব দিলেন তাঁর ছবিতে অভিনয়ের জন্য। ছবির নাম ‘কৃষ্ণকান্তের উইল।’ মোনালিকে, রাজা সেন ভ্রমরের চরিত্রে ভেবেছিলেন।
বিনোদন
টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল

দীপক ওরফে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের এক সফল অভিনেতা এবং পরিচালক। তিনি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট শায়লা চক্রবর্তীর ছেলে। এছাড়াও তিনি একজন রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য।
চলচ্চিত্র তালিকা
সাল | চলচ্চিত্র/ ধারাবাহিক | চরিত্র | মন্তব্য/পুরস্কার |
১৯৮১ | সোনায় সোহাগা | অভিনেতা | |
১৯৮৯ | মর্যাদা | পরিচালক | |
১৯৯৪ | ফিরিয়ে দাও | পরিচালক | |
১৯৯৫ | কেঁচো খুঁড়তে কেউটে | অভিনেতা এবং পরিচালক | |
১৯৯৫ | সংসার সংগ্রাম | পরিচালক | |
১৯৯৬ | ভয় | পরিচালক | |
২০০০ | বস্তির মেয়ে রাধা | পরিচালক | |
২০০২ | মানুষ অমানুষ | পরিচালক | |
২০১৪ | চতুষ্কোণ | অভিনেতা | |
২০১৬ | ষড়রিপু | অভিনেতা | |
২০১৬ | কিরীটী রায় | কিরীটী রায় | অভিনেতা (নাম ভূমিকা) |
আরও পড়ুন: পদ্মিনীর নাচ দেখে রাজ কাপুর তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন
বিনোদন
নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে

ছোটবেলায় নাচতে ভালো লাগত। আশাজি সম্পর্কে মামি। মামির গান খুব পছন্দ। মামির গানে নাচতে দারুণ লাগে। নাচের মুদ্রা কিন্তু নিজস্ব। সে মুদ্রা কেউ শেখায়নি। গান আশাজির, স্টেপ নিজের। কোন এক অনুষ্ঠানে, পদ্মিনী এভাবেই নাচছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ কাপুর। দেখছিলেন পদ্মিনীর নাচ। নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে। পদ্মিনীর তখন কি এমন বয়স। বলিষ্ঠ স্বরে বলেছিলেন, আমি তো অভিনয় করি। এই আত্মবিশ্বাস রাজের ভালো লেগেছিল। পদ্মিনী মনে করেন, সম্ভবত এই কারণে রাজ কাপুর তাঁকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিতে নিয়েছিলেন।
পিতা পন্ধরীনাথ কোলহাপুরী। মা নিরুপমা কোলহাপুরী। তিন বোনের মধ্যে পদ্মিনী কোলহাপুরী দ্বিতীয়। বড় বোন শিভাঙ্গী কোলহাপুরীকে বিয়ে করেছেন শক্তি কাপুর। ছোট বোন তেজস্বিনী কোলহাপুরীও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
পদ্মিনীর ঠাকুরদা পণ্ডিত কৃষ্ণ রাও কোলহাপুরী এবং লতাজি, আশাজির পিতা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ‘বলবন্ত নাটক আকাদেমি’তে এক সাথে কাজ করেছেন। পদ্মিনীর মা নিরুপমা (পন্ধরীনাথের স্ত্রী) ছিলেন পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের সৎ বোন। সেই সূত্রে, পদ্মিনী আবার লতাজি এবং আশাজির ভাগ্নী।
আরও পড়ুন: ঋষিকেশ বহিরাগত হয়েও বলিউডে জায়গা করে নিয়েছিলেন
পদ্মিনীর মা নিরুপমা ছিলেন কোঙ্কণী ব্রাহ্মণ সন্তান। বসবাস ছিল কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে। বাবার তরফে, পদ্মিনীর পূর্ব পুরুষের বসবাস ছিল মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে। মূলত পিতৃ সূত্রে, পদ্মিনীর নামের সাথে যুক্ত হয়েছে কোলহাপুর।
মধ্যবিত্ত মহারাষ্ট্রীয় কোঙ্কণী পরিবারের সন্তান, পদ্মিনীর ছোট বেলা কেটেছে প্রবল দারিদ্রের মধ্যে। পদ্মিনী দেখেছে, সংসার চালাতে বাবা কেমন হিমশিম খেতেন। আয় বাড়াতে, পন্ধরীনাথ গান শেখাতে শুরু করেছিলেন। তাতে অবশ্য সংসারের হাল ফিরেছিল। তবে তা সেরকম কিছু নয়।