Connect with us

গাছপালা

Let us pot periwinkle টবে চোখ ধাঁধানো নয়নতারা so beautiful

Published

on

Let us pot periwinkle

Let us pot periwinkle বাড়ির আশেপাশে বা যাতায়াতের পথে চোখ বোলালে নয়নতারা চোখে পড়ে। নেহাত অবহেলায় বেড়ে ওঠে সে নয়নতারা। এই নয়নতারা মূলত সাদা ও বেগুনি রঙের হয়। দুটি রঙই দেখতে খুব সুন্দর। অনেকে এই দুই রঙের নয়নতারা বাড়িতে টবে চাষ করে তৃপ্তি লাভ করেন।

অনেকেই জানেন না নয়নতারা একটি জীবনদায়ী ভেষজ উদ্ভিদ। এর গুণাবলী নিয়ে আয়ুর্বেদে ব্যাখ্যা আছে। নয়নতারার ভেষজ গুণ সম্বন্ধে সম্যক ধারণা থাকা দরকার। সেই উপলব্ধি থেকে এই ফুলের চাষে আগ্রহ বাড়বে। নয়নতারার উৎপত্তি স্থল মাদাগাস্কার। নয়নতারার ইংরেজি নাম Periwinkle। বৈজ্ঞানিক নাম Vinca Rosea (Catharanthus Roseus)। পরিবার Apocynaceae। নয়নতারা একটি বহুবর্ষীজীবী গুল্ম উদ্ভিদ।  

Let us pot periwinkle টবে নয়নতারা চাষ অত্যন্ত সহজ

সাদা এবং বেগুনি রঙ ছাড়া আরও বহু রঙের নয়নতারা এখন সুলভ। বর্তমানে কৃষিবিজ্ঞানে প্রভূত উন্নতির ফলে সম্ভব হয়েছে। এখানে গোলাপি ও লাল নয়নতারা ফুল দেখানো হয়েছে। টবে চাষ করতে মূলত যে সব উপকরণ লাগবে। সেগুলি হল টব, মাটি, কোকো পিট, ভার্মিকমপোস্ট, চারা গাছ ইত্যাদি। প্রথমে একটি করে উপকরণ নিয়ে আলোচনা সেরে নেবো। তারপর আলোচনা করব চাষের পদ্ধতি নিয়ে।

চর্মরোগ-রক্তচাপ-অনিয়মিত ঋতুস্রাব-লিউকোরিয়া-টেনশন-স্ট্রেস ইত্যাদি দূর করতে নয়নতারার জুড়ি নেই।

টবে নয়নতারা ফুল চাষ করতে ছয় ইঞ্চি সাইজের টব যথেষ্ট। আজকাল মাটির টব ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষত শহরাঞ্চলে মাটির টব অপ্রতুল। সে জায়গায় প্লাস্টিকের তৈরি নানা রঙের বিভিন্ন সাইজের টব পাওয়া যায়। তারই মধ্যে উৎসাহী প্রকৃতিপ্রেমি পছন্দের টব বাছতে পারেন। যারা শহরে থাকেন স্থানীয় কোন নার্সারিতে প্লাস্টিকের টব না পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনলাইন বিপণিতে পছন্দের টব খুঁজে দেখতে পারেন। আপনাদের সুবিধার্থে এমন একটি লিংক পাশে দেওয়া থাকল।

টবে ফুল চাষ করতে মাটি তৈরি খুব গুরুত্বপূর্ণ

এবার আসি মাটির প্রসঙ্গে। এঁটেল বা বালি মাটিতে চাষ ভাল হয় না। টব যেহেতু কৃত্রিম আধার মাটি নির্বাচন তাই খুব জরুরী। দো-আঁশ মাটি টবের জন্য আদর্শ। বাগানের মাটি টবের জন্য নেওয়া যেতে পারে। এই মাটিতে জল বিশেষ দাঁড়ায় না। মাটি সংগ্রহ করে তাকে ভাল করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। দেখতে হবে যেন ডেলা না থাকে। খুব ভাল ভাবে গুঁড়ো থাকলে ভার্মিকমপোস্ট, কোকো পিট ইত্যাদি মেশাতে খুব সুবিধা হয়। শহরে যারা থাকেন তারা হয়ত বাগানের মাটি সংগ্রহ করতে অসুবিধায় পড়তে পারেন। তাদের জন্য সুখবর। অনলাইন বিপণিতে তৈরি মাটির পেতে পারেন।

Stay safe at home সুস্থ আনন্দে থাকুন বাড়িতে

টবে নয়নতারা ফুলের চাষ

টবের মাটি এমন হবে যাতে জল না দাঁড়ায়। অথচ মাটিকে আর্দ্র রাখতে হবে। এই কারণে কোকো পিট ব্যবহার হয়। কোকো পিট হল নারকেল ছোবড়ার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রূপ। বিশেষ ভাবে এগুলি তৈরি হয়। কোকো পিট অন্য ভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। দোকান ছাড়া গতি নেই। তবে দেখতে হবে কোকো পিটের মধ্যে খুব বেশি যেন বর্জ্য পদার্থ না থাকে। শুকনো কোকো পিট এক রাতে জলে ভেজাতে হবে। তারপর কাপড়ে ছেঁকে তুলে নিলে মাটিতে মেশানোর উপযোগী হয়।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে টবে রাসায়নিক সার না ব্যবহার করা উচিত

জৈব সার বলতে কেঁচো সার বা পাতা পচা সার। এক বছরের পুরানো গোবর সার বা কমপোস্ট সার। এগুলো সবই মাটির মিশ্রনের জন্য আদর্শ। তবে কেঁচো সার বা ভারমিকমপোস্ট এ দিক থেকে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। খুব সহজে অনলাইন বিপণি থেকে সংগ্রহ করা যায়। নার্সারিতেও কিনতে পাওয়া যায়। প্রায় সব ধরনের ফুল ও ফলের গাছ টবে বসাতে ভারমিকমপোস্টের কোন বিকল্প নাই।

Best Redmi mobile under 10000 এবার আয়ত্তের মধ্যে মোবাইল

টবে যাই চাষ হোক কিছু উপকরণ অত্যন্ত দরকারি। দুপাশে শেয়ার করা দুটি লিংক থেকে ধারণা পাওয়া যাবে। এগুলি আলাদা করে কেনা যায়। প্রত্যেকটি উপকরণই অপরিহার্য। তবে এক সাথে কিনলে খরচে সাশ্রয় হয়। এ বিষয়ে অনলাইন বিপণি কাজে আসে। পাঠক মনে করলে আরও অনুসন্ধার করতে পারেন।

টবে জল নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক ভাবে করতে হবে। ভিডিও দেখলে সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে। টবের ফুটো খোলাম কুচি দিয়ে ঢাকতে হবে। তারপর একটি পাথরের স্তর। মিহি পাথরের টুকরো ব্যবহার করা যায়। বালি চেলে এক ধরনের নুড়ি পাওয়া যায়। সেই নুড়িও ব্যবহার করা যায়। পাথরের স্তরের ওপরে বালির স্তর। বালি এবং পাথর যৌথ ভাবে অতিরিক্ত জল বার করে দেবে। যে কোন ভাবে টব থেকে বাড়তি জল বেরিয়ে যাওয়া দরকার।

৫০ শতাংশ বাগান মাটি, ২৫ শতাংশ কোকো পিট, ২৫ শতাংশ ভারমিকমপোস্ট। এই হল মাটির ভাগ। নয়নতারার জন্য এই ভাবে মাটি তৈরি করতে হবে। ভিডিওতে দেখানো হয়েছে। কোকো পিটের সঙ্গে বালিও ব্যবহার হয়েছে। তা না করে শুধু কোকো পিটও ব্যবহার করা যায়। কোকো পিটের বদলে কাঠের গুঁড়োও কাজে লাগতে পারে। জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করে টবে এই মাটি দিতে হবে। টবের কানা থেকে কমপক্ষে এক ইঞ্চি ছেড়ে চারা গাছ বসাতে হবে। সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখলে বিষয়টি আয়ত্তে আসবে।

গাছ অনেকটা মানবশিশুর মত টবে প্রতিস্থাপনের পরে তাকে শিশু প্রতিপালনের মত দেখতে হয়

টবে বসানোর পরে প্রথম এক মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি দিন জল দেওয়া আবশ্যিক। তবে মাটির আর্দ্রতা দেখে নেওয়া দরকার। তাছাড়া সপ্তাহে একবার তরল সার প্রয়োজনীয়। তাছাড়া মাসে কমপক্ষে একবার মিশ্র জৈব সার দরকার। অবস্থা বুঝে আরও কিছু করতে হয়। যেমন নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম, ফসফেট, ক্যালসিয়াম, ইত্যাদির দিকে লক্ষ্য দিতে হয়। সেই বুঝে ব্যবস্থাও নিতে হয়।

প্রাথমিক রূপে টবে নয়নতারা চাষ নিয়ে আর আলোচনা কিছু নেই। এর পরে আসে দীর্ঘমেয়াদী পরিচর্যা। যেমন পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকানো ইত্যাদি। সেসব নিয়ে আবার আলোচনা করা যাবে। আপাতত এটুকুই।

Continue Reading