Connect with us

বিদেশ

হলদিমির নেই পুতিনের চর মৃত নরওয়ের মন খারাপ

Published

on

হলদিমির নেই পুতিনের চর মৃত নরওয়ের মন খারাপ। গত শনিবার হঠাৎ নরওয়ের সমুদ্রে তাকে ভাসতে দেখা যায়। পুতিনের চর মনে করলেও, নরওয়ের মানুষ তাকে ভালোবেসেছিল।

পড়ুন: বিয়ে না করেও একশোরও বেশি সন্তানের বাবা

হলদিমির সম্পর্কে আরও জানুন

এই বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ চলছে। নজর রাখুন এখানে। খুব দ্রুত এই বিষয়ে আরও তথ্য জানতে পারবেন।

Continue Reading

বিদেশ

বিয়ে না করেও একশোরও বেশি সন্তানের বাবা

Published

on

একশোরও বেশি সন্তানের বাবা! তাও আবার বিয়ে না করে! এও কি সম্ভব? জীব বিজ্ঞান নিয়ে আপনার অল্প জ্ঞান আছে! আপনিও বলবেন, সম্ভব নয়। কিন্তু বাস্তব বলছে, সম্ভব। বিয়ে না করে একশোরও বেশি সন্তানের বাবা! হ্যাঁ, সম্প্রতি জনৈক ব্যক্তি এমনই দাবি করেছেন। তিনি বিয়ে করেননি। একাই থাকেন। একা থাকতে ভালোওবাসেন। তাঁকে দেখলে যে কোন মহিলা প্রেমে পড়ে যাবেন। এতই সুন্দর তাঁর দেহ সৌষ্ঠব। হ্যাঁ, তিনি দারুণ ফিটও বটে।

এই ব্যক্তি হলেন বিখ্যাত টেলিগ্রাম অ্যাপের সি ই ও। নাম পাভেল দুরভ। সম্প্রতি পাভেল দুরভ ফাঁস করেছেন এক বড় সিক্রেট। বয়স মাত্র উনচল্লিশ বছর। তাঁর সিক্রেট জেনে গোটা বিশ্ব বিষ্ময়ে অবাক। বিয়ে না করেও তিনি নাকি একশোরও বেশি সন্তানের পিতা।  কিন্তু এত সন্তানের পিতা নিশ্চয় একাধিক নারীর সঙ্গে সহবাস করেছেন। না, তাও নয়। তাহলে কি করে এমন হল?

একশোরও বেশি সন্তানের বাবা অথচ বিয়ে করেননি

পাভেল বলেছেন, তিনি এত সন্তানের পিতা কিন্তু একজনকেও চেনেন না। এ তো মহা বিপদ! এমন কি করে হয়? এ যেন খবর নয়, একটার পর একটা পেঁয়াজের পরত ছাড়ানো। প্রথমে বলেছেন, তিনি বিয়ে করেননি। তারপর বলেছেন, শতাধিক সন্তানের পিতা। আবার বলছেন, সন্তানদের কাউকে তিনি চেনেন না। সব কিছু কেমন যেন এক ধোঁয়াশা। তিনি আবার বিদেশি। এমনিতে বিদেশে অনেক কিছু হয়ে থাকে, সাধারণ বুদ্ধিতে যার নাগাল পাওয়া যায় না। এটাও কি তবে এমনই এক রহস্য?

না, এর মধ্যে কোন রহস্য নেই। আসল গল্পটা হল এই যে পাভেল দুরভ হচ্ছেন এই সব সন্তানদের বায়োলজিক্যাল ফাদার। আজ থেকে তা প্রায় বছর পনেরো আগের কথা। পাভেলের এক বন্ধু এক অদ্ভুত প্রস্তাব নিয়ে আসেন। বন্ধু ও তাঁর স্ত্রীর ফার্টিলিটি সমস্যা ছিল। কোন ভাবেই, এই দম্পতি সন্তানের জন্ম দিতে পারছিলেন না। তাঁরা পাভেলকে প্রস্তাব দেন। পাভেল যেন একটি ক্লিনিকে গিয়ে তাঁর শুক্রাণু দান করেন। কৃত্রিম ভাবে সেই শুক্রাণু ব্যবহার করে বন্ধু-পত্নী সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন।

পড়ুন : লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া জীবনের প্রথম বাংলা গানের জন্ম কিন্তু এক রেস্তোরাঁয়

পাভেল, প্রথমে কথাটা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে বন্ধুর কষ্ট বুঝতে পারেন। বুঝতে পারেন যে তাঁর বন্ধু মোটেই তাঁর সঙ্গে মজা করছেন না। শুক্রাণু দান করতে গিয়ে দুরভ একটি তথ্য জানতে পারেন।  উচ্চ মানের শুক্রাণু নাকি সহজে পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয়। শারীরিক সমস্যার কারণে, এমন অনেক দম্পতি নাকি সন্তান জন্ম দিতে অপারগ। তারপর থেকে পাভেল শুক্রাণু দান করা শুরু করেন।

তিনি বলেছেন, “আমার অতীতে দান করা শুক্রাণু থেকে দুই হাজার চব্বিশ সাল পর্যন্ত বারোটি দেশের একশোরও বেশি দম্পতির সন্তান হয়েছে। আমি অনেকদিন শুক্রাণু দান বন্ধ করেছি। কিন্তু, এখনও অন্তত একটা আই ভি এফ ক্লিনিকে আমার শুক্রাণু রাখা আছে।”

একশোরও বেশি সন্তানের বাবা অথচ একটি সন্তানকেও চেনেন না

সেই সঙ্গে পাভেল বলেন, এবার তিনি তাঁর ডিএনএ প্রকাশ্যে আনার পরিকল্পনা করছেন। এর ফলে তাঁর সন্তানরা পরস্পরকে খুঁজে পাবে। শুক্রাণু দান করে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন বলেও দুরভ জানান। তাঁর কথায়, “নিজের দায়িত্ব পালন করে তিনি গর্বিত। বিশ্বজুড়ে উচ্চমানের শুক্রাণুর সংখ্যা কমছে। স্বাস্থ্যবান পুরুষদের এই কাজে এগিয়ে আসা দরকার।” এবার কি বোঝা গেল, বিয়ে না করেও কি করে একশোরও বেশি সন্তানের পিতা হওয়া যায়…

 যিনি বিয়ে না করে একা থাকতে পছন্দ করেন, তিনি কী করে একশো সন্তানের বাবা হলেন? নিজেই এই প্রশ্ন তুলেছেন টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ। তবে উত্তরও দিয়েছেন তিনিই। তাঁর বায়োলজিক্যাল বাবা হওয়ার নেপথ্য কাহিনি শুনিয়েছেন।

পাভেল দুরভ সম্পর্কের আরও পড়ুন

পাভেল দুরভ, টেলিগ্রামে নিজের পাঁচ দশমিক সাত মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গে একথা শেয়ার করেছেন। রাশিয়ার এই উদ্যোগপতি অত্যন্ত গর্বের সাথে এই সত্য প্রকাশ্যে এনেছেন। টেলিগ্রামের সিইও-র এই পোস্ট এখনও পর্যন্ত এক দশমিক আট মিলিয়ন মানুষ দেখেছেন। তাঁর এই পোস্টের স্ক্রিনশট এক্স হ্যাণ্ডলে (সাবেক টুইটার) ভাইরাল হয়েছে।

Continue Reading

বিদেশ

মায়া সভ্যতা হারিয়ে যায়নি গুয়াতেমালা সহ অনেক দেশে এখনও বজায়

Published

on

মায়া সভ্যতা হারিয়ে যায়নি

মায়া সভ্যতা হারিয়ে যায়নি, বিস্তীর্ণ আমেরিকা অঞ্চল জুড়ে এখনও তার অস্তিত্ব আছে। এক দিকে প্রশান্ত মহাসাগর, আর এক দিকে আটলান্টিক দিয়ে ঘেরা, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা, এই দুই মহাদেশকে এক সাথে নিয়ে আমেরিকা অঞ্চল এক সুবৃহৎ অঞ্চল। অনেক বছর আগে, মানুষ প্রথম এশিয়া থেকে এ অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করে। উত্তর আমেরিকা পৃথিবীর উত্তর ও পশ্চিম গোলার্ধে অবস্থিত একটি মহাদেশ। একে আমেরিকার উত্তর উপমহাদেশও বলা হয়।

মায়া সভ্যতা হারিয়ে যায়নি কিন্তু সে বিরাজমান ছিল কোথায়? সম্ভবত মায়া সভ্যতা বিস্তীর্ণ ছিল সুবৃহৎ আমেরিকা অঞ্চলে

বর্তমানে সংস্কৃতি ও জাতিগত বিন্যাসে বিভক্ত এই অঞ্চলে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক, আফ্রিকান দাস, আদিবাসী আমেরিকান এবং তাদের বংশধরদের প্রভাব বিদ্যমান। মহাদেশটির উত্তরাংশে ইউরোপীয় প্রভাব এবং দক্ষিণাংশে আদিবাসী আমেরিকান ও আফ্রিকান প্রভাব সুস্পষ্ট। ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাবে উত্তর আমেরিকানরা মূলত ইংরেজি, স্প্যানিশ এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলে। তাছাড়া এই অঞ্চলের সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা মূলত পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রতিফলন। দক্ষিণ আমেরিকা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মহাদেশ। আয়তনের দিক থেকে এশিয়া, আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার পর এর স্থান। এই মহাদেশে বারোটি সার্বভৌম রাষ্ট্র আছে।

ভারতের নাগারা কি গুয়াতেমালানদের পূর্বসূরী – মায়ার বাঁধনে আটকে দুই দেশ?

আর্জেন্তিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, প্যারাগুয়ে, পেরু, উরুগুয়ে ও ভেনেজুয়েলা ছাড়া বাকি দুই রাষ্ট্রের মধ্যে গায়ানা যুক্তরাজ্যের এবং সুরিনাম নেদারল্যাণ্ডসের প্রাক্তন উপনিবেশ ছিল। ব্রাজিল ছিল পর্তুগালের উপনিবেশ। আর্জেন্তিনা, বলিভিয়া, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, প্যারাগুয়ে, পেরু, উরুগুয়ে এবং ভেনেজুয়েলা এই ন’টি দেশ ছিল স্পেনের উপনিবেশ। এই সব দেশের ভাষা স্প্যানিশ। ব্রাজিলের ভাষা পর্তুগিজ। সুরিনামের ভাষা ডাচ এবং গায়ানার ভাষা ইংরেজি।

মায়া সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় কোথায়? গোটা মেসো-আমেরিকা অঞ্চল জুড়ে মায়া সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়

মধ্য মেক্সিকো থেকে বেলিজ, গুয়াতেমালা, এল সালভাদোর, হন্দুরাস, নিকারাগুয়া ও উত্তর কোস্টারিকা পর্যন্ত বিস্তৃত, মেসো-আমেরিকা ছিল গোটা আমেরিকা অঞ্চলের একটি বিস্তীর্ণ সাংস্কৃতিক এলাকা। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে স্প্যানিশ ঔপনিবেশিকতা পত্তনের পূর্বে এখানে প্রাক কলম্বিয়ান সমাজের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। এই এলাকা ছিল বিশ্বের ছ’টি অঞ্চলের মধ্যে অন্য়তম এবং উত্তর উপকূলীয় পেরু সহ আমেরিকা দ্বিতীয় অঞ্চল যেখানে প্রাচীন সভ্যতা স্বাধীনভাবে বিকশিত হয়েছিল। সাংস্কৃতিক প্রসারণের কারণে অন্যান্য মেসো-আমেরিকান সভ্যতার সঙ্গে মায়া সভ্যতাকে অনেক ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

হন্দুরাস, গুয়াতেমালা, এল সালভাদোর এবং মায়া অঞ্চল থেকে এক হাজার কিলোমিটারের (প্রায় ছশো পঁচিশ মাইল) চেয়েও বেশি, মধ্য মেক্সিকোতেও মায়ার প্রভাব লক্ষ করা যায়। এর বাইরেও অনেক মায়া সভ্যতায় প্রভাবিত শিল্প ও স্থাপত্যের খোঁজ পাওয়া যায়, যা বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের চিন্তাধারার এক প্রকার সরাসরি বাহ্যিক ফল। মায়া কখনও হারিয়ে যায়নি। না প্রাচীনকালে, না স্পেনীয় আগ্রাসনের সময়ে। পরবর্তীকালে স্পেনীয়রা আমেরিকা মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করে তখনও না। আজ, সম্পূর্ণ মায়া অঞ্চল জুড়ে মায়া এবং তাদের বংশধরেরা বিস্তৃত। মায়া সভ্যতার ভৌগোলিক সীমা মায়া অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। উত্তরাঞ্চলীয় মধ্য আমেরিকার অঞ্চল, যা বর্তমানে গুয়াতেমালা, বেলিজ, এল সালভাডোর এবং পশ্চিমী হন্ডুরাস জুড়ে মায়া সভ্যতা প্রসারিত করেছিল।

গুয়াতেমালা বা গুয়াতেমালা প্রজাতন্ত্র মধ্য আমেরিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এর উত্তর-পশ্চিমে মেক্সিকো, দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তর-পূর্বে বেলিজ ও ক্যারিবীয়ান সাগর, এবং দক্ষিণ-পূর্বে হন্ডুরাস ও এল সালভাদোর। মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্র হল গুয়াতেমালা। রুক্ষ পাহাড় ও আগ্নেয়গিরি, নয়নাভিরাম হ্রদ ও সবুজের সমারোহে সমৃদ্ধ এই দেশটিতে মধ্য আমেরিকার এক-তৃতীয়াংশ জনগণের বাস। উচ্চভূমিতে অবস্থিত গুয়াতেমালা সিটি দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। শহরটি জাতীয় জীবনের সমস্ত দিক নিয়ন্ত্রণ করে।

মায়া সভ্যতা ধ্বংসের কারণ মূলত সংস্কৃতিগত পার্থক্য

লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় গুয়াতেমালাতে আদিবাসী জাতির মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। গুয়াতেমালার অর্ধেক জনগণ মায়া জাতির মানুষ। মায়ানরা অতীতে এই অঞ্চলে একটি সমৃদ্ধ সভ্যতা গড়ে তুলেছিল। দেশের বাকি অর্ধেক লোকেরা হল মেস্তিজো, অর্থাৎ ইউরোপীয় ও আদিবাসী আমেরিকানদের মিশ্র জাতি। এরা গুয়াতেমালাতে লাদিনো নামে পরিচিত। গুয়াতেমালার সংস্কৃতি পুরাতন আর নতুনের মিশ্রণ। এই দেশের বিরাটসংখ্যক আদিবাসী জনগণ এখনও প্রাচীন রীতিনীতি ধরে রেখেছে।

অন্যদিকে গুয়াতেমালা সিটি ও অন্যান্য শহর এলাকাকে কেন্দ্র করে লাদিনোরা আধুনিক ইউরোপীয় ও উত্তর আমেরিকান ধাঁচের জীবনযাপন করে। গুয়াতেমালার পল্লী জীবনে মায়া সংস্কৃতির শিকড় এখনও গভীর। এসব এলাকায় এখনও বহু আদিবাসী মানুষ কোন না কোন মায়া ভাষাতে কথা বলে। সনাতন ধর্ম ও গ্রামীণ রীতিনীতি পালন করে এবং ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও অন্যান্য হস্তশিল্প প্রস্তুত করে। লাদিনো ও মায়া সংস্কৃতির এই সহাবস্থান গুয়াতেমালার সমাজে জটিলতার সৃষ্টি করেছে যেখানে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। এই বিভাজন গুয়াতেমালার ইতিহাসের নানা টানাপোড়েন ও সংঘাতের প্রধান উৎস।

মুষ্টিমেয় ধনী গোষ্ঠী বড় বড় এস্টেট বা জমিদারির অধিকারী। অন্যদিকে কৃষিশ্রম সরবরাহকারী জনগোষ্ঠী, বিশেষত আদিবাসীরা অত্যন্ত দরিদ্র। গুয়াতেমালা আঠারশো সালে স্বাধীনতা লাভ করার পর সামরিক স্বৈরশাসকেরা এর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে। বর্ধনশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সরকারি নিপীড়নের ফলে উনিশশো ষাটে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। উনিশশো আশির শেষের দিকে গণতান্ত্রিক বেসামরিক শাসনের দিকে দেশটি এগোতে থাকে। উনিশশো ছিয়ানব্বই সালে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ছত্রিশ বছর দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এই যুদ্ধে দু লক্ষেরও বেশি গুয়াতেমালান নিহত বা নিখোঁজ হন।

Continue Reading

বিদেশ

রাশিয়ার মানুষ রবিশঙ্করকে সেতারের রাজা মনে করত

Published

on

রবিশঙ্কর একাধিক বার রাশিয়াতে এসেছেন। তাঁরই দৌলতে রাশিয়ার মানুষ ভারতীয় সঙ্গীত সম্বন্ধে জেনেছে। রবিশঙ্কর ও তাঁর সঙ্গীতের সঙ্গে এক একটি সাক্ষাৎকার, রাশিয়ার মানুষের কাছে ছিল এক একটি উৎসবের মত। তাঁরা সত্যিকারের ভারতকে তাঁরা এভাবেই চিনেছেন। রবিশঙ্করের সেতারের উপরে অসামান্য দখল সকলকে স্রেফ হতবাক করে দিয়েছে।. রাশিয়ার মানুষ রবিশঙ্করকে সেতারের রাজা মনে করত।

রবিশঙ্করের মৃত্যুতে গভীর শোকের সঞ্চার হয়েছিল রাশিয়াতে

রবিশঙ্করের মৃত্যুর পরে তাঁকে স্মরন করে রাশিয়াতে ভারত অনুসন্ধান কেন্দ্রের ডিরেক্টর তাতিয়ানা শাউমিয়ান বলেছিলেন, “সত্যই উনি ছিলেন এক মহান ব্যক্তিত্ব, মহান সঙ্গীত শিল্পী, যিনি সারা বিশ্বেই বিখ্যাত ছিলেন। তিনি ভারতীয় দেশি সঙ্গীত এমন ভাবে পেশ করতেন, যা যেমন ভারতীয় তেমনই তাদের চেয়ে একেবারেই অন্য সংস্কৃতির মানুষরা, যাঁরা ইউরোপ, রাশিয়ার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত, তাঁরাও শুনতে পারতেন। তাঁর মধ্যে থেকেই একটা অনুপ্রেরণা উৎসারিত হত, যা তাঁর প্রতি গভীর মনোযোগ ও আগ্রহের সৃষ্টি করত।”

সংবাদ মাধ্যম রবিশঙ্করের নাম দিয়েছে ‘ভারতীয় মোৎসার্ট’

ষাট বছর ধরে ভারতের এই বহু গুণান্বিত শিল্পী মঞ্চে বাজিয়েছেন। তিনি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দিন ধরে পেশাদার সঙ্গীত পরিবেশনের কারণেই। রবিশঙ্কর রাশিয়া ও পশ্চিমে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতকে জনপ্রিয় করার জন্য বিরাট কাজ করে গিয়েছেন।

রবিশঙ্করকে লেখা দেবব্রত (জর্জ) বিশ্বাসের চিঠি হারিয়ে গিয়েছিল চিরতরে

তাতিয়ানা শাউমিয়ান আরও বলেছিলেন, “যদিও তিনি ঐতিহ্য মেনেই বাজাতেন, তাও তিনি নিজে ছিলেন খুবই আধুনিক। বিশ্বের বহু সঙ্গীত শিল্পী, তা সেই বিটলস দল থেকে শুরু করে আমাদের দেশের সঙ্গীত শিল্পীরা পর্যন্ত তাঁকে শুধু শুধু গুরু মেনে নিয়ে আসতেন না বা তাঁর কাছে শিখতে যেতেন না। এই মানুষটি সকলের ওপরেই এক বিশাল প্রভাব ফেলতেন। যখন রবিশঙ্কর আমাদের কাছে রাশিয়াতে আসতেন, তখন বহু লোকের ভিড় হলের বাইরে অপেক্ষা করে থাকত একটি বাড়তি টিকিট পেয়ে প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশের আশায়। তাঁর অনুষ্ঠান শোনার জন্য অধীর হয়ে থাকতেন ও স্বপ্ন দেখতেন তাঁর সঙ্গীত শোনার। এই সব ভোলা যায় না।”

নিউইয়র্কে কনসার্টে রবিশঙ্কর হ্যারিসন এক সাথে

বিটলসের জর্জ হ্যারিসন বলেছিলেন ‘ রবিশঙ্কর বিশ্ব সঙ্গীতের গড ফাদার’ 

এক সময়ে রবিশঙ্করের কাছে সেতার শিখেছেন বিটলস দলের গিটার বাদক জর্জ হ্যারিসন। নিজের রাশিয়া ভ্রমণ নিয়ে রবিশঙ্কর সব সময় এক উষ্ণ অনুভূতির সঙ্গে কথা বলতেন। বলতেন রাশিয়ার মানুষদের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা। সম্ভবতঃ এই সব স্মৃতি থেকে তাঁর মনে ধরেছিল রুশ নাম ‘আন্না’ অথবা ‘আন্নুশকা’। রাশিয়ান ভাষায় কোন মহিলাকে এই নামে এই ভাবে আদর করে ডাকা হয়। রবিশঙ্কর নিজের মেয়ের নাম রেখেছিলেন, ‘অনুষ্কা শঙ্কর’ অনুষ্কা প্রায়ই তাঁর বাবার সঙ্গে বহু অনুষ্ঠানে বাজাতেন।

বহু লোকই রাশিয়াতে রবিশঙ্করকে মহান রুশ কবি আলেকজান্ডার পুশকিনের মতো দেখতে বলে মনে করতেন। তাঁর প্রথম বারের রাশিয়া ভ্রমণের সময়ে সেই উনিশশো চুয়ান্ন সালে একজন রুশ চিত্র পরিচালক তাঁকে পুশকিনের ভূমিকায় সিনেমাতে অভিনয় করার প্রস্তাবও করেছিলেন, যা তিনি সেই সময়ে তৈরী করার পরিকল্পনা করছিলেন। রবিশঙ্কর এই নিয়ে তাঁর আত্মজীবনী ‘আমার সঙ্গীত আমার জীবন’ বইতেও লিখেছেন।

রবিশঙ্করের সৃষ্টি রাশিয়ার সাংস্কৃতিক জগতের বহু বিখ্যাত লোকের মনেই গভীর প্রভাব ফেলেছে, যেমন মিখাইল ফোকিন রচিত ‘শাহেরজাদা’ ব্যালে, ইউরি গ্রেগরোভিচের ‘লিজেন্ড অফ লাভ’ নাটক। তাঁর সেতারে প্রভাবিত হয়ে, বিখ্যাত রক গ্রুপ ‘কিনো’ (সিনেমা)র লিড সিঙ্গার ভিক্টর ত্সই তাঁর সম্বন্ধে একটি গানে লিখেছিলেন, “কে এটা নিয়ে বাজিয়েছে? কার এই সেতার? এই সেতারে বাজিয়েছেন নিজে রবিশঙ্কর।’ নিজের দীর্ঘ ও উজ্জ্বল জীবনে রবিশঙ্কর অন্যান্য অনেক পুরস্কারের সঙ্গে রাশিয়ারও পুরস্কার পেয়েছেন, যেমন ‘পিটার দ্য গ্রেটের’ নামাঙ্কিত জাতীয় পুরস্কার।

Continue Reading