Connect with us

বিনোদন

সিনেমা কি তবে হল ছেড়ে মোবাইলের খুদে পর্দায়

Published

on

first day first show now in mobile
আশির দশকের হাওড়া শহর। সদ্য এগারো ক্লাসে ওঠা বেশ কিছু পড়ুয়া, জড় হয়েছে স্কুলের বারান্দার এক কোণে। চাপা স্বরে চলছে শলা-পরামর্শ। আগামী কাল কদমতলার পুষ্পশ্রী হলে রিলিজ হচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীর ডিসকো ডান্সার। ছাত্রদল পড়াশোনায় ভাল, তবে সিনেমা দেখার অদম্য শখ। নতুন ছবি বেরোলে দেখতেই হবে। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো জিন্দাবাদ। মাঝে কিছুটা স্তিমিত হলেও এই উন্মাদনা কিন্তু এখনও ছিল, অন্তত লকডাউন চালু হওয়ার আগে পর্যন্ত। প্রযুক্তি হয়ত সিনেমা হলে ছবি দেখার প্রবণতা ছিনিয়ে নিয়েছে, তবে আজ পর্যন্ত বাংলা ও হিন্দি ছবির বাজারে যে বেশ কিছু সাড়া জাগানো ছবি উপহার দিয়েছে, তা কিন্তু সিনেমা হলের দৌলতে। সাবেকি সিনেমা হল বদলে হয়ত মাল্টিপ্লেক্স হয়েছে, তবে এই কিছু দিন আগে পর্যন্ত Dev-Prosenjit-Jeet  দেব-প্রসেনজিত-জিত  Akshay Kumar – Shah Rukh – Salman – Amitabh Bachchan বা অক্ষয়-সলমন-শাহরুখ-অমিতাভের হিট ছবি মানুষকে বাধ্য করেছে সিনেমা হলের লাইনে দাঁড়াতে
 
 
 
 

 

 
block buster now in mobile
 

মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে লকডাউন কতটা কার্যকরী, তা নিয়ে হয়ত খবরের পাতা উত্তাল হতে পারে, তবে দ্বিমাসাধিক কালেরও বেশি সময় ধরে মানুষের গৃহবন্দিত্ব যে দেশের সিনেমা প্রদর্শন শিল্পকে কফিনবন্দি করে ফেলেছে, তা নিয়ে সম্ভবত কারও মধ্যে দ্বিমত নেই। আর মাত্র আট দিন। জল্পনা চলছিল অনেক আগে থেকে। ১২ জুন ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে অমিতাভ বচ্চন-আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত গুলাবো সিতারো। সামনে এসেছে আরও এক ঘোষণা। বিষ্ময় মহিলা গণিতজ্ঞর জীবনের ওপর তৈরি বিদ্যা বালান অভিনীত শকুন্তলা দেবী-রও মুক্তি আসন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে। চার দফা লকডাউন জুড়ে দেশব্যপী অসংখ্য হল তালাবন্ধ। এই পরিস্থিতিতে হল রিলিজ এড়িয়ে সরাসরি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তির রাস্তা অনেক প্রযোজক সংস্থাই বেছে নিচ্ছে। সিনেমা হলগুলি অবশ্য বসে নেই। তাদের তরফে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যে আইনক্সের তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করে বিষয়টিকে গভীর চিন্তাজনক এবং বিপজ্জনক

new trend in digital entertainment
 

বলা হয়েছে। এই মাল্টিপ্লেক্স চেন আরও বলেছে, তারা বাধ্য হয়েই এবার নিজেদের জন্য অন্য উপায় খুঁজতে বাধ্য হবে। যাঁরা সম্পর্ক ভেঙে অন্যপথ বেছে নিচ্ছে তাঁদের প্রয়োজনের বন্ধু নয় বলে উল্লেখ করে জানানো হয়েছেতাঁরা সংশ্লিষ্ট প্রযোজকে সংস্থার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছে। শোনা যাচ্ছেঅক্ষয় কুমার অভিনীত লক্ষ্মী বম্বরাজকুমার রাও অভিনীত লুডোজাহ্নবী কাপুর অভিনীত বায়োপিক গুঞ্জন সাক্সেনা সহ আরও বেশ কিছু ছবির মুক্তিও সরাসরি ওয়েব প্ল্যাটফর্মেই হতে চলেছে। বাণিজ্যিক ছবির এই ডিজিটাল প্রিমিয়ার নিয়ে ভবিষ্যতে সিনেমা হল মালিক ও প্রযোজক সংস্থাগুলি যে ক্রমশ যুযুধান হয়ে উঠবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, এখন দেখতে হবে ভারতীয় দর্শক এই ডিজিটাল রিভলিউশনকে কিভাবে গ্রহণ করে! আপাতত অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই।

 
Continue Reading

বিনোদন

মোনালি বলেছিলেন তিনি বিবাহিত কিন্তু সত্যি কি তাই

Published

on

জন্ম ০৩ নভেম্বর ১৯৮৫

কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত

পিতা শক্তি ঠাকুর

মাতা মিনতি ঠাকুর

দিদি মেহুলি ঠাকুর

জীবন সঙ্গী মাইখ রিখটার (অসমর্থিত)

সাল ২০২০। একটি জনপ্রিয় সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রের পাতা। সে পাতায় ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। ২০২০ সালে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে মোনালি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি বিবাহিত। তার তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে তিনি নাকি বিয়ে করেছেন। পাত্র এক সুইডিশ রেস্তোরাঁ মালিক। নাম মাইক রিখটার।

২০১৭ থেকে ২০২০। তিন বছর মোনালি তাঁর বিয়ে গোপন করেছিলেন। না কোন সংবাদ মাধ্যম। না কোন সমাজ মাধ্যম। কোথাও প্রকাশিত হয়নি মোনালির বিয়ের খবর। বিয়ের আংটি কখনও ভুলবশত ইনস্টাগ্রামে দেওয়া ছবিতে দেখা যেত। তার থেকে অনেকে মোনালির বিয়ের খবর জানতে উৎসুক থাকতেন। কিন্তু মাইক এবং মোনালি দুজনেই অত্যন্ত সফল ভাবে তাঁদের বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন।

আরও পড়ুন: টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল

এবার আসা যাক আর একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্রের প্রসঙ্গে। তারিখ ১ আগস্ট ২০১৭। সেখানেও ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। শুরুতে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু মোনালি বিয়ের খবর অস্বীকার করেছেন। বলেছিলেন, ‘বিয়ে নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কি আছে? বিয়ে হলে জানাবেন।’ এমন কি বয়ফ্রেণ্ডের নাম পর্যন্ত বলতে চাননি। কেন এত গোপনীয়তা, সেটা মোনানিই বলতে পারবেন।

মোনালি শক্তি ঠাকুরের ছোট মেয়ে। জন সমক্ষে প্রথম আবির্ভাব গায়িকা রূপে। অভিনয় তার পরে। বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘আলোকিত এক ইন্দু’তে প্রথম অভিনয়। মুখ্য চরিত্র ইন্দুবালার ভূমিকায়।  এরপর অভিনয় করেছেন আরও দু-একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে। এক দিন রাজা সেন প্রস্তাব দিলেন তাঁর ছবিতে অভিনয়ের জন্য। ছবির নাম ‘কৃষ্ণকান্তের উইল।’ মোনালিকে, রাজা সেন ভ্রমরের চরিত্রে ভেবেছিলেন।

Continue Reading

বিনোদন

টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল

Published

on

দীপক ওরফে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের এক সফল অভিনেতা এবং পরিচালক। তিনি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট শায়লা চক্রবর্তীর ছেলে। এছাড়াও তিনি একজন রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য। 

চলচ্চিত্র তালিকা

সালচলচ্চিত্র/ ধারাবাহিকচরিত্রমন্তব্য/পুরস্কার
১৯৮১সোনায় সোহাগা অভিনেতা
১৯৮৯মর্যাদা পরিচালক
১৯৯৪ফিরিয়ে দাও পরিচালক
১৯৯৫কেঁচো খুঁড়তে কেউটে অভিনেতা এবং পরিচালক
১৯৯৫সংসার সংগ্রাম পরিচালক
১৯৯৬ভয় পরিচালক
২০০০বস্তির মেয়ে রাধা পরিচালক
২০০২মানুষ অমানুষ পরিচালক
২০১৪চতুষ্কোণ অভিনেতা
২০১৬ষড়রিপু অভিনেতা
২০১৬কিরীটী রায়কিরীটী রায়অভিনেতা (নাম ভূমিকা)
* সংশোধন/সংযোজন/পরিমার্জন চলছে

আরও পড়ুন: পদ্মিনীর নাচ দেখে রাজ কাপুর তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন

Continue Reading

বিনোদন

নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে

Published

on

ছোটবেলায় নাচতে ভালো লাগত। আশাজি সম্পর্কে মামি। মামির গান খুব পছন্দ। মামির গানে নাচতে দারুণ লাগে। নাচের মুদ্রা কিন্তু নিজস্ব। সে মুদ্রা কেউ শেখায়নি। গান আশাজির, স্টেপ নিজের। কোন এক অনুষ্ঠানে, পদ্মিনী এভাবেই নাচছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ কাপুর। দেখছিলেন পদ্মিনীর নাচ। নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে। পদ্মিনীর তখন কি এমন বয়স। বলিষ্ঠ স্বরে বলেছিলেন, আমি তো অভিনয় করি। এই আত্মবিশ্বাস রাজের ভালো লেগেছিল। পদ্মিনী মনে করেন, সম্ভবত এই কারণে রাজ কাপুর তাঁকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিতে নিয়েছিলেন। 

পিতা পন্ধরীনাথ কোলহাপুরী। মা নিরুপমা কোলহাপুরী। তিন বোনের মধ্যে পদ্মিনী কোলহাপুরী দ্বিতীয়। বড় বোন শিভাঙ্গী কোলহাপুরীকে বিয়ে করেছেন শক্তি কাপুর। ছোট বোন তেজস্বিনী কোলহাপুরীও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

পদ্মিনীর ঠাকুরদা পণ্ডিত কৃষ্ণ রাও কোলহাপুরী এবং লতাজি, আশাজির পিতা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ‘বলবন্ত নাটক আকাদেমি’তে এক সাথে কাজ করেছেন। পদ্মিনীর মা নিরুপমা (পন্ধরীনাথের স্ত্রী) ছিলেন পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের সৎ বোন। সেই সূত্রে, পদ্মিনী আবার লতাজি এবং আশাজির ভাগ্নী।

আরও পড়ুন: ঋষিকেশ বহিরাগত হয়েও বলিউডে জায়গা করে নিয়েছিলেন

পদ্মিনীর মা নিরুপমা ছিলেন কোঙ্কণী ব্রাহ্মণ সন্তান। বসবাস ছিল কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে। বাবার তরফে, পদ্মিনীর পূর্ব পুরুষের বসবাস ছিল মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে। মূলত পিতৃ সূত্রে, পদ্মিনীর নামের সাথে যুক্ত হয়েছে কোলহাপুর।

মধ্যবিত্ত মহারাষ্ট্রীয় কোঙ্কণী পরিবারের সন্তান, পদ্মিনীর ছোট বেলা কেটেছে প্রবল দারিদ্রের মধ্যে। পদ্মিনী দেখেছে, সংসার চালাতে বাবা কেমন হিমশিম খেতেন। আয় বাড়াতে, পন্ধরীনাথ গান শেখাতে শুরু করেছিলেন। তাতে অবশ্য সংসারের হাল ফিরেছিল। তবে তা সেরকম কিছু নয়।

Continue Reading