বুদ্ধদেব গুহ বাঙালীর অন্তরের লেখক। তাঁকে একবার শুনতে হয়েছিল, ‘আপনি কি সুনীলকে ঈর্ষা করেন’? খোদ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আড্ডাস্থল ‘বুধসন্ধ্যা’-য় বসে লালাদা সেদিন কবি সুবোধ সরকারের প্রশ্নের...
জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী নিঃসঙ্গ লেখক – আজকাল তাঁকে নিয়ে আর আলোচনা হয় না। বাংলা সাহিত্যের পাঠক বুঝি ভুলেই গেছে শব্দের জাদুকরকে। সেটা ছিল একাত্তরের কলকাতা। শহর ও...
‘শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা আমি তিনমাস ঘুমিয়ে থাকব- প্রতি সন্ধ্যায় কে যেন ইয়ার্কি করে ব্যাঙের রক্ত ঢুকিয়ে দেয় আমার শরীরে- আমি চুপ করে বসে থাকি- অন্ধকারে...
তিনি জানতেন, রবীন্দ্রপ্রভাবকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা কখনই সম্ভব নয়। তবুও বিষ্ণু দে বাংলা কবিতায় স্বকীয়তা স্থাপনে সক্ষম হয়েছিলেন। কাজী নজরুল ইসলামের মত, রবীন্দ্রনাথকে প্রভূত শ্রদ্ধা করতেন।...
একটি মাসিক পত্রিকা সেকালে এক বালকের মনে কি প্রবল আকর্ষণ তৈরি করেছিল, তা অনুমান করা যায় অন্নদাশঙ্কর রায়ের একটি প্রবন্ধ থেকে, “সবুজ পত্র যেদিন বিনুর মতো অবুঝের...
শুরু থেকে ধরলে তারাশঙ্কর উপন্যাস রাজনীতি বাংলা এভাবেও নেওয়া যায় আবার উল্টো দিক থেকে ধরলেও তালিকা সার্থক হয়। আসলে বাংলা সাহিত্য, রাজনীতি এবং বাংলা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের...
বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক বনফুল। একবার সেই বনফুল বলাইচাঁদ রবীন্দ্রনাথের পুরাতন জোব্বা চেয়েছিলেন উপহার। এমনই নাছোড়বান্দা ছিলেন যে কিছুতেই গুরুদেবের থেকে অন্য উপহারে রাজি হননি।...
সুচিত্রা ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। ছোটবেলায় বালিশের তলায় লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তেন শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র। এদের অনুপ্রেরণায় ছোটবেলায় তাঁকে লিখতে শুরু করিয়েছিল। তবে সুচিত্রার মতে এগারো-বারো ক্লাস...
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় কেন আনন্দবাজার ছেড়েছিলেন? বাংলা সাহিত্যের তামাম পাঠক, প্রকাশক, গ্রন্থ সমালোচক, বিক্রেতা, সমঝদার সবাই জানত মনোমালিন্যের কারণেই তিনি চাকরি ছেড়েছিলেন। একটু পিছন থেকে সামগ্রিক প্রেক্ষাপট...
বাণী বসুর লেখালেখির শুরু আনন্দবাজার পত্রিকা দিয়ে। ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল লেখক হওয়ার। কলেজ থেকে বেরিয়ে একদিন সরাসরি আনন্দবাজার পত্রিকার অফিসে অশোক কুমার সরকারের সঙ্গে দেখা...