Connect with us

খানাপিনা

3-ingredient cake, extremely simple anyone can make without oven অত্যন্ত সহজ যে কেউ তৈরি করুন

Published

on

জীবনের যেকোনও বিশেষ মুহুর্ত উপভোগ করার জন্য প্রথমে আমাদের মনে আসে কেক। এই 'কেক' শব্দের উৎপত্তি নাকি প্রাচীন নোরস (স্ক্যান্ডেনেভিয়ান) শব্দ 'কাকা' থেকে। এমন মানুষ কমই হবে, যারা কেক পছন্দ করেনা। আধুনিক কেক তৈরির জন্য প্রচুর উপাদান যেমন ময়দা, ডিম, চিনি, তেল, এসেন্স, দুধ ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে আপনি (3-ingredient) ৩ টি উপাদান দিয়েও সহজেই কেক বেক করতে পারেন।

উপকরণ

  • ২-৩ প্যাকেট বিস্কুট
  • দুধ
  • ইনো (ENO)

পদ্ধতি

প্রথমে বিস্কুট গুলিকে ভালো করে গুঁড়ো করতে হবে।
Continue Reading

খানাপিনা

Justin Narayan Kishwar Chowdhury Indo-Bangla won the world

Published

on

Justin Narayan Kishwar Chowdhury

ভারত আর বাংলাদেশ মিলে জয় করল বিশ্ব। হ্যাঁ, শুনতে বিচিত্র লাগলেও কথাটা সত্যি। ভারতীয় বংশদ্ভুত Justin Narayan Kishwar Chowdhury তেমনই জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। প্রথম জন জিতেছে masterchef australia season 13 (2021)। অন্যদিকে কিশ্বর চৌধুরী রানার আপ হয়েছে। masterchef australia এবার সিজন ১৩ তে পড়ল। ১৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে শুরু হওয়া মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া প্রতিযোগিতায় এবার প্রতিযোগির সংখ্যা ছিল চব্বিশ। প্রায় তিন মাস ধরে চলতে থাকা অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রান্নার প্রতিযোগিতায় একাধিক উপায়ে প্রতিযোগিদের রন্ধন নৈপুন্য যাচাই করা হয়।

ভারতীয় বংশোদ্ভুত Justin Narayan Kishwar Chowdhury বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত দুজনে মিলে মাতিয়েছে এবারের মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতা

এবারের মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া সিজন ১৩ (২০২১) প্রতিযোগিতায় যোগদানকারী প্রতিযোগিদের মধ্যে সব থেকে একমাত্র জাস্টিন নারায়ণ ছিল ভারতীয় বংশোদ্ভুত। জাস্টিন থাকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সিটি বিচে। মাত্র সাতাশ বছর বয়সি জাস্টিনের জন্ম ১৯৯৪ সালে। দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে জাস্টিনের একটা সম্পর্ক আছে। জাস্টিন সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে বলেছে ছোটবেলায় হুয়ে’জ কুকিং অ্যাডভেঞ্চারস নামে একটি রান্নার শো দেখে সে প্রথম রান্নার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। তাছাড়াও সে দেখত তাদের বাড়িতে নৈশভোজে প্রায় দিন অতিথি-অভ্যাগতরা আসতেন। ৪টেয় স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরে জাস্টিন দেখত বাড়িতে রাতের খাবারের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। এসব কিছুই তাকে রান্নার প্রতি আকৃষ্ট করেছিল।

তিন বছর আগে ২০১৮ সালে আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত শশী চেলিয়া মাস্টারশেফ জিতেছিল। জাস্টিন হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভুত। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দরুন ভারতীয় মুদ্রায় জাস্টিন পেয়েছে প্রায় ১.৮৬ কোটি টাকা। এই টাকা নিয়ে জাস্টিন একটি ফুড ট্রাক শুরু করতে চায়। তার ইচ্ছে এই ফুড ট্রাকে থাকবে বিভিন্ন দক্ষিণ ভারতীয় রান্না। মাত্র তেরো বছর বয়স থেকে সে রান্নায় পারদর্শী। মূলত মাকে দেখে দেখে রান্না শিখেছে। জাস্টিনের রান্নার মধ্যে ফিজি এবং ভারতীয় দুই ধারার প্রভাব আছে।

জাস্টিন তার মা সুনিতাকে নিয়ে গর্ব অনুভব করে। ৯ মে ছিল মাদার্স ডে। সেই দিনে মায়ের কোলে একটি ছোটবেলার ছবি দিয়ে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জাস্টিন মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছে। বিরাট পরিমাণ পুরস্কার অর্থের কিছুটা জাস্টিন বস্তিতে বসবাসকারী মানুষদের ওপরেও খরচ করতে চায়। আমাদের শুভেচ্ছা রইল জাস্টিনের প্রতি।

আরও পড়ুনঃ খিচুড়ির ইতিহাস বড়ই চমকপ্রদ জাহাঙ্গীর থেকে জগন্নাথ দেব সবাই খেয়েছেন

জাস্টিন এবং কিশ্বর যদিও জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়াবাসী তবে জন্মসূত্রে প্রথম জন ভারত এবং দ্বিতীয় জন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত

কিশ্বর চৌধুরীর তিনটি রান্না এবারের মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতায় বিচারকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এগুলি হল যথাক্রমে পান্তা ভাত, আলু ভর্তা বা আলু ভাতে এবং মাছ ভাজা। পান্তা ভাতের পদটি কিশ্বর পোশাকি নাম দিয়েছে স্মোকড রাইস ওয়াটার। আসলে তা কিন্তু আমাদের অতি পরিচিত পান্তা ভাত।

৩৮ বছরের কিশ্বর আবার দুই সন্তানের মা। কিশ্বর চায় বাংলাদেশের বিভিন্ন রান্না সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে। তারই অঙ্গ স্বরূপ মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতায় কিশ্বর একাধিক বাংলাদেশি পদ উপস্থিত করেছিলেন। যার মধ্যে আছে খিচুড়ি, বেগুন ভর্তা, মাছের ঝোল, ফুচকা ইত্যাদি। বিচারকদের প্রশংসাও অঢেল কুড়িয়েছেন।

ফাইনালে কিশ্বর যে পান্তা রান্না করেছিলেন, সেই পান্তা ভাত কিশ্বর নিজে কিন্তু কোন দিন মুখে তোলেননি। খাওয়াদাওয়াতে তাঁর বরাবরই অনেক বাছবিচার। তবে ছোটবেলার স্মৃতি তার খুব মনে পড়ে। মামাবাড়িতে রান্নাঘরে সবাই পাত পেড়ে বসে খেতে বসত। দিদিমা সকলকে পান্তা ভাত খেতে দিতেন। কেউ খেত গুড় দিয়ে, কেউ আবার চানাচুর সহ খেতে ভালবাসত।

কিশ্বর চৌধুরীর জন্ম থেকে বড় হওয়া সব কিছু অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতায় কিশ্বর যতই এগিয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ ততই আবেগে উদ্বেল হয়েছে। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাতকারে কিশ্বর তার ভারত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলেছে। কিশ্বরের বাবা বাংলাদেশি এবং মা ছিলেন কলকাতার মেয়ে। কিশ্বরের বাবা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও সামিল হয়েছিলেন। পরবর্তী কালে তিনি অস্ট্রেলিয়া চলে আসেন এবং সেখানেই কিশ্বরের মায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মেলবোর্ন এবং ঢাকা দুই শহরেই কিশ্বরের বহু আত্মীয়স্বজন রয়েছেন।

তবে বাংলাদেশের মানুষ একটি বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতি রীতিমত খাপ্পা। মাস্টারশেফে কিশ্বর যত এগিয়েছে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি তত কিশ্বরকে নিয়ে মাতামাতি করেছে। এখন বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলির বক্তব্য যে কিশ্বর তো কোথাও ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেনি। তাহলে কেন ভারতীয়রা এভাবে বাংলাদেশের গর্বকে নিজেদের বলে চালানোর চেষ্টা করছে? বিষয়টি কিন্তু নেট মাধ্যমে বেশ ঝড় তুলেছে। তবে যাই হোক তাই হোক, কিশ্বরকে নিয়ে দুই দেশেরই গর্ব করা সাজে। আমরা বরং সেটাই করি।

Continue Reading

খানাপিনা

খিচুড়ির ইতিহাস বড়ই চমকপ্রদ আকবর থেকে জগন্নাথ সবাই খেয়েছেন

Published

on

কে না খেয়েছে খিচুড়ি? মেগাস্থিনিস থেকে আকবর, জাহাঙ্গীর থেকে জগন্নাথ সবাই খেয়েছে খিচুড়ি। তাই তো খিচুড়ির ইতিহাস বড়ই চমকপ্রদ! “শুঁটির খিচুড়ি করে খেয়েছে যে জন/ ভুলিতে না পারে আর তার আস্বাদন/ এই শীতে মুগের খিচুড়ি যেই খায়/সে জন ভোজনে আর কিছুই না চায়” – ঈশ্বর গুপ্ত। পণ্ডিতের মতে সংস্কৃত খিচ্চাপ্রকার ভেদে খেচরান্না শব্দ থেকে খিচুড়ি শব্দ এসেছে যার বাংলা অর্থ চাল ও ডাল মিশ্রিত খাবারবিশ্বকোষের মতে খিচুড়ি শব্দ এসেছে খেচর শব্দ থেকে। বঙ্গীয় শব্দকোষ বইয়ে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন প্রাকৃত শব্দ কিসর/কৃসরা শব্দ বিবর্তিত হয়ে প্রথমে খিচরি তারপর খিচুড়ি (রী/ড়ি/ড়ী) হয়েছে। চাল ডাল ইত্যাদি এক সাথে মিশিয়ে রান্না করে যে খাবার তৈরি হয় তাই হল খিচুড়ি। 

খিচুড়ির ইতিহাস বড়ই চমকপ্রদ মেগাস্থিনিস থেকে আকবর, ঔরঙ্গজেব থেকে পুরীর জগন্নাথ দেব সবাই খেয়েছেন

যাক, বাঙালির প্রিয় খিচুড়ির কৌলীন্য রক্ষা পেল। নাহলে তো সব কিছু তালগোল পাকিয়ে যাকে বলে জগাখিচুড়ি হয়ে যাচ্ছিল। আচ্ছা জগাখিচুড়ি নামে কি কোন খাবার আছে। কেউ যেন বলল! তবে তো আরও বিপদ! বাঙালির গর্বের খিচুড়ির কি তবে স্বাতন্ত্র বলে কিছু নেই! উফ,খিচুড়ির উৎপত্তি নিয়ে কি মুশকিলেই না পড়া গেছে!হ্যাঁ,  জনপ্রিয় খাবার বলেই না তার সূত্র ধরে এত টানাটানি এবার তবে এক এক করে খিচুড়ির ইতিহাসের প্যাঁচ খোলা যাকশুরু হোক জগাখিচুড়ি দিয়ে। এটা ঠিক, জগাখিচুড়ি নামে সত্যিই একটি খাবার আছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রসাদ নামে ভক্তদের খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। লোকের মুখে মুখে জগন্নাথ দেবের খিচুড়ি কালক্রমে সংক্ষেপে হয়েছে জগাখিচুড়ি সেটাকেই কি না বাঙালি তালগোল পাকানোর প্রতিশব্দ হিসেবে দিব্যি ব্যবহার করে!

আরও পড়ুনঃ একদা আমাদের অত্যন্ত প্রিয় ডাকটিকিট এখন বিস্মৃতির পথে যার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে দীর্ঘ ইতিহাস…

একটু পিছোনো যাক। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ধান এসেছিল ভারতে। টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী হাড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী’—চর্যাপদের এই পংক্তি তো তাই বলে! আর ডাল? তার উল্লেখ তো চর্যাপদে নেই! নেই তার কারণ ডাল জন্মসূত্রে মোটেই ভারতীয় নয়। তার আদি ঠিকানা ছিল মধ্যপ্রাচ্য। সেখান থেকে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তান দিয়ে উত্তর ভারত হয়ে বাংলায় ঢুকে পড়েছিল। তখন মধ্যযুগ। মোটামুটি ১২০০ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যবর্তী কোন এক সময় ভারতে খিচুড়ির আবির্ভাব তখন থেকে।

নীহাররঞ্জন রায় জানিয়েছেন, উচ্চবিত্ত লোকজন আহারের শেষের দিকে ডালের স্বাদ নিতেন। মাছ সহজলভ্য হওয়ায় গরিবকে ডালের মুখাপেক্ষী থাকতে হত না। অবশ্য মঙ্গল কাব্যে সময় থেকে সাহিত্যে ডালের উল্লেখ পাওয়া যায়। আবার নীহাররঞ্জন রায় তাঁর বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন, ‘প্রাচীন বাঙালীর খাদ্য তালিকায় ডালের উল্লেখ কোথাও দেখিতেছি না।ডাল না থাকলে ডালেচালে মেশানো খিচুড়ি হল কি করে?

নীহাররঞ্জন রায় তাঁর বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে খিচুড়ির উৎপত্তি নিয়ে আলোকপাত করেছেন

তবে এমনও শোনা যায়, খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ১২০০ শতকেও খিচুড়ি খাওয়ার প্রচলন ছিল। সেলুকাস লিখেছেন ভারতীয় উপমহাদেশে চালের সঙ্গে ডাল মেশানো খাবার খুব জনপ্রিয় ছিল। ভারততত্ত্বে, আল বেরুনিও খিচুড়ির প্রসঙ্গ বাদ দেননি। মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবন বতুতা খিচুড়ি প্রস্তুতিতে চাল, ডাল এবং বিশেষ করে মুগডালের কথাও বলেছেন। চাণক্যের লেখায় মৌর্যসম্রাট চন্দ্রগুপ্তের সময়ে খিচুড়ির উল্লেখ পাওয়া যায় গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিসের লেখাতেও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের রান্নাঘরে খিচুড়ির উল্লেখ আছেসপ্তদশ শতকে ভারত ভ্রমণকালে ফরাসী পরিব্রাজক তাভের নিয়ের লিখেছেন, সে সময় ভারতে প্রায় সব বাড়িতেই খিচুড়ির রেওয়াজ ছিল।

মোগল আমলেও সম্রাটদের প্রিয় খাদ্যের তালিকায় ছিল খিচুড়ি। হুমায়ুনকে তাঁর বেগম হামিদা খিচুড়ি তৈরি করে খাওয়াতেন। বাদশাহ আকবরের মন্ত্রী আবুল ফজল আইন-ই-আকবরী বইতে নানা ধরনের খিচুড়ি তৈরির কথা বলেছেন। বীরবলের বাঁশের উপরে হাঁড়ি বেঁধে নিচে আগুন জ্বালিয়ে রান্নার গল্পে খিচুড়িই রান্না করেছিলেন। রাশিয়ার ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারী আফানাসি নিকটিন চোদ্দ শতকে ভারতে আসেন। তখন জাহাঙ্গীয় ছিলেন মুঘল সম্রাট। তাঁর লেখায় খিচুড়ির উল্লেখ আছে। জাহাঙ্গীর পেস্তা ও কিসমিস মেশানো খিচুড়ি খেতে ভালবাসতেন। ভালোবেসে নাম রেখেছিলেন ‘লাজিজান’।

মোগল আমলে প্রায় সব মোগল সম্রাটদের অত্যন্ত প্রিয় ছিল খিচুড়ি, এক-একজন সম্রাট এক-এক রকম ভাবে খেতে ভালবাসতেন

শাহজাহান পর্তুগীজ পর্যটক সেবাস্তিয়ান মানরিখকে পেস্তা বাদাম আর গরম মশলা দিয়ে খিচুড়ি খাইয়েছিলেন। তা খেয়ে মানরিখের মনে হয়েছিল মণি মাণিক্যের খিচুড়ি খেয়েছেন। আওরেঙ্গজেবের হেঁশেলেও খিচুড়ি রান্না হত। তাঁর প্রিয় ‘আলমগিরি’ খিচুড়িতে চাল ও ডালের সঙ্গে মেশানো হত বিভিন্ন ধরনের মাছ ও ডিম। বাহাদুর শাহ জাফর মুগ ডালের খিচুড়ি খেতে খুব ভালবাসতেন। সে সময় মুগ ডাল বাহশাহ-পসন্দ নামে বিখ্যাত হয়েছিল। ১৯ শতকে আওয়াধের নবাব নাসিরউদ্দিন শাহের দসতরখ্ওয়ান বা রাজকীয় রান্নাঘর প্রসিদ্ধ ছিল পেস্তা, কাঠবাদাম সহযোগে খিচুড়ি রান্নার জন্য।

মনসামঙ্গল কাব্যে স্বয়ং শিব ডাবের জল দিয়ে পার্বতীকে মুগডালের খিচুড়ি রাঁধতে ফরমায়েশ করেছিলেন ভিন্ন মতে বলা হয়েছে, ‘আদা কাসন্দা দিয়া করিবা খিচুড়ি বৃন্দাবন থেকে সুদামা যখন কৃষ্ণের সাথে দ্বারকায় দেখা করতে গিয়েছিলেন তখন সঙ্গে দুটি পুঁটলিতে ছিল খাবার। একটিতে ছিল চিঁড়েভাজা অন্যটিতে ছিল খিচুড়ি।খিচুড়িরচার ইয়ারঘি পাঁপড় দহিআচারকথাটি লোকমুখে চালু থাকলেওবাঙালি মানেই খিচুড়ি, পাঁপড় সহযোগে খেতে বেশি পছন্দ করে। তবেজোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রন্ধনপটীয়সীরাবলেছেনদইদিয়ে খিচুড়ি খাইতেমন্দ লাগে না

সাধে কি আর শঙ্কর বলেছেন, “এই ভারত ভূখণ্ডে কোন ঋষি কোন সময় নিখিল বিশ্বকে খিচুড়ি উপহার দিয়েছিলেন তা আজও অস্পষ্ট, তবে আমরা জানি হাজার বছরটা কিছু নয়। মহামুনি চরক স্বয়ং সার্টিফিকেট দিয়েছেন, খিচুড়ির গুণাগুণ পোলাও থেকে কিছুমাত্র কম নয়। তাই আজও আসমুদ্র হিমাচল খিচু়ড়ির ‘শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিস মাগে’।

Continue Reading