বিনোদন
মহুয়ার মৃত্যু কি দুর্ঘটনা না হত্যা নাকি আত্মহত্যা

মহুয়া রায়চৌধুরী
জন্ম: সেপ্টেম্বর ২৪, ১৯৫৮
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
জীবনসঙ্গী: তিলক চক্রবর্তী
মৃত্যু: জুলাই ২২, ১৯৮৫
মহুয়ার মৃত্যু কি নিছক দুর্ঘটনা না হত্যা অথবা আত্মহত্যা। প্রয়াত অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে বহু মন্তব্য সামনে এসেছে। কিন্তু মহুয়ার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের অবসান এখনও হয়নি। সেদিন ঠিক কি হয়েছিল? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
সাল উনিশশো পঁচাশি, মহুয়া রায়চৌধুরী দক্ষিণ কলকাতার এক নার্সিং হোমের আটতলার ঘরে ভয়ঙ্কর ভাবে আগুনে পুড়ে ভর্তি আছেন। প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। সময়টা ছিল জুলাইয়ের মাঝামাঝি। এগারো দিন ধরে চলছে লড়াই। অঝোর এক বর্ষার রাতে, শেষে অগণিত ভক্তকে চোখের জলে ভাসিয়ে বিদায় নিয়েছিল মহুয়া। ঝলসানো শরীরে অস্পষ্ট উচ্চারণে শুধু এটুকুই বলতে পেরেছিল, ‘আমার গোলা রইল। ওকে দেখিস।’ পিছনে পড়ে রইল স্বামী-পুত্র সহ ভরা সংসার। আর বাংলা সিনেমার তাবড় তাবড় নির্দেশক প্রযোজক আর বেশ কিছু অসমাপ্ত ছবি।
মহুয়া রায়চৌধুরী, দীপংকর দে, সন্তু মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিকর মত বিরাট সিনেমা ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এক সাথে নামোল্লেখ হত
সত্যি সেদিন কি ঘটেছিল? আত্মহত্যা না হত্যা? নাকি নিছক দুর্ঘটনা? সংশয় এখনও মেটেনি। ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজে’ ঘোড়ার পিঠে চড়ে যে মেয়ে বাংলা ছায়াছবিতে পা দিয়েছিল, শিপ্রা থেকে সোনালি হয়ে মহুয়া, অকালপ্রয়াণের সময় তার হাতে ছিল কুড়িটা ছবি। দীপংকর দে, সন্তু মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিকদের সঙ্গে একই সারিতে নামোল্লেখ হত। আশির দশকে বাংলা ছবির নায়িকাদের মধ্যে সব থেকে বেশি পারিশ্রমিকের দাবিদার ছিল মহুয়া। ছবি প্রতি প্রায় এক লাখ টাকা পারিশ্রমিক, যা সে সময়ের অন্য অনেক নায়ক-নায়িকাদের তুলনায় অনেক বেশি। সিনেমার পোস্টারে তার নাম বা ছবি রাখলে যে হলে দর্শক ভিড় করবেই করবে, সেটা ছবির নির্মাতা-নির্দেশক খুব ভাল বুঝতেন। তাঁকে মাথায় রেখে সিনেমার চিত্রনাট্য লেখা হত। নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় থেকে তপন সিংহ সকলের নজর থাকত মহুয়ার ওপর।
ফেরা যাক গোড়ার কথায়।
এক সন্ধেতে উত্তর কলকাতার চৌধুরীপাড়ায় আসর বসেছে। সে আমলে এমন অস্থায়ী স্টেজে অনেক নামী শিল্পীও অংশ নিতেন। দর্শকাসনে সুচিত্রা সেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্রর মত দিকপাল সব শিল্পিরা হাজির। অতি কষ্টে সে আসরে জনৈক নীলাঞ্জন রায়চৌধুরী তাঁর সাত বছরের মেয়ে শিপ্রার নাচ দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। যে কোনও গানের সঙ্গে সে নাচতে পারে। অবাক হয়ে দেখতে হয় তার তাল জ্ঞান। উদয়শংকরের দলে নীলাঞ্জন নিজে এক সময় নাচতেন, যশ আর অর্থের সন্ধানে মুম্বাই পর্যন্ত পাড়ি জমিয়েছিলেন। কোন লাভ হয়নি। ফিরে এসেছিলেন কলকাতায়। কনিষ্ঠা কন্যা শিপ্রার বয়স তখন মাত্র চার।
নীলাঞ্জন, ব্যঙ্গশিল্পি বন্ধু বেণু সেনকে মনের সব দুঃখের কথা বলতেন। তাঁরই সৌজন্যে সেই রাতে চৌধুরীপাড়ার আসরে হেমন্ত, সন্ধ্যা, শ্যামলের সঙ্গে মঞ্চ জায়গা পেয়েছিল ছোট্ট শিপ্রা। নাচ দেখে স্তম্ভিত দর্শককুল নিজেদের অজান্তে সে রাতে এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হয়েছিলেন। সেদিন সেই আসরে জন্ম নিয়েছিল সোনালি রায়। বেশ কিছু দিন সোনালি রায় কলকাতা আর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সব মঞ্চকে মাতিয়ে রেখেছিল। পয়সা রোজগারও শুরু হয়েছিল সেদিন থেকে। তারপর ছবির জগতে বাবার যোগাযোগের সুবাদে একদিন গুটিগুটি পায়ে সোনালি হাজির হল টালিগঞ্জের স্টুডিয়োপাড়ায়। সুখেন দাসের প্রযোজনায় পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘নয়া মিছিল’ ছবির জন্য চলছিল নায়িকার খোঁজ। সুখেন দাসের পছন্দ হলেও সোনালিকে নির্দেশকের মনে ধরল না।
হতাশ হলেন নীলাঞ্জন। বাবার হতাশা দেখে মন খারাপ হল মেয়েরও।
ভাঙা মন নিয়ে বাপ-মেয়ে যখন বাড়ির পথ ধরেছে, তখনই পিছন থেকে ডাক দিলেন সুচিত্রা সেনের ব্যক্তিগত মেকআপ ম্যান জামাল ভাই। খবর ছিল তরুণ মজুমদার তাঁর পরের ছবির জন্য অল্পবয়সি নতুন মুখ খুঁজছেন। ফিরে এলে আশার আলো। কনেবউ সেজে সন্ধ্যা রায়, তরুণ মজুমদারের সামনে এসে দাঁড়াল সদ্য কৈশোরী শিপ্রা ওরফে সোনালি। বয়স মাত্র তেরো বছর। ছবির নামকরণ তখনও বাকি। শেষ পর্যন্ত ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ ছবি দিয়ে টালিগঞ্জে মহুয়া রায়চৌধুরী নামে নতুন এক নায়িকা অধ্যায়ের সূচনা হল। কয়েক বছর পর, তরুণবাবুর ছবি দাদার কীর্তি তাকে এনে দিয়েছিল প্রবল জনপ্রিয়তা। প্রায় পঞ্চাশ সপ্তাহেরও বেশি চলা মহুয়া-তাপস পাল অভিনীত সেই ছবি বাংলা সিনেমাকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সোনালি নাম বদলে মহুয়া নাম তরুণবাবুই রেখেছিলেন।
কিশোরী মেয়ের জীবনে এবার প্রেম এলো। তিলক তখন স্টেজে গান গায়। বাবা নীলাঞ্জনের মত নেই এ সম্পর্কে। ওদিকে মেয়েও নাছোড়বান্দা। মহুয়াকে সংকট থেকে উদ্ধার করতে সহায় হল প্রাণের বন্ধু রত্না ঘোষাল ওরফে ‘মাটু’। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, তরুণকুমার, সবাই সমর্থন করলেন। মেয়ের এই প্রেমের সম্পর্কে কেন বাবার মত ছিল না? কেউ বলেন, মেয়ের সামনে তখন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, তার ওপরে অর্থের হাতছানি। শিপ্রা থেকে সোনালি হয়ে মহুয়াতে উত্তরণের যাত্রাপথের কারিগর, সাধারণ মধ্যবিত্ত অভিভাবকের পক্ষে সে হাতছানি অগ্রাহ্য করা ছিল খুব কঠিন। মেয়ের অদম্য জিদের কাছে শেষে বাবা হার মানলেন।
মহুয়া-তিলক উঠে এলো টালিগঞ্জের কাছাকাছি। ধীরে ধীরে প্রযোজক-নির্দেশকদের কাছে মহুয়া হয়ে উঠেছিল একমাত্র পছন্দ। কেরিয়ারে প্রচণ্ড গতিতে উত্থানের সাথে সাথে জীবনও এগিয়ে চলেছিল অপ্রতিরোধ্য গতিতে। মাঝরাতে বাইক ভ্রমণ। মদ্যপান। ফুর্তির ফোয়ারা, সব কিছুই ছিল জীবনে। এরই মধ্যে কোলে এলো ফুটফুটে সন্তান। পুরানো বাসা ছেড়ে তিলক, মহুয়া ততদিনে উঠে এসেছে বেহালায়।সব বিবাদ চুকিয়ে বাবাও এসে বাস করতে শুরু করেছেন মেয়ের বাড়ি। কচি গোলাকে দেখভাল করতে হবে যে! ক্যামেরার সব আলো মহুয়ার ওপর। তার ধারেপাশে অন্য কেউ নেই।
এত কিছুর মধ্যেও কেন তবে বেপরোয়া জীবন? কেন দোলাচল?
অতি সাধারণ পরিবার থেকে হঠাৎ পাওয়া খ্যাতি, দুরন্ত আবেগ অথচ সাধারণ মেয়ের মত স্বামী-সংসারের আকাঙ্ক্ষাই কি নিয়ে এসেছিল এত অনিয়ন্ত্রিয়ণ? নাকি বিকৃত শৈশব আর লোভের শিকার হওয়া সংবেদনশীল মন বারবার রক্তাক্ত হচ্ছিল এই টানাপোড়েনে? সে জবাব দেওয়ার মত এখন কেউই আর নেই?
একটি দৃশ্যর কথাও কোন দিন ভোলার নয়। ‘শঠে শাঠ্যং’ ছবিতে বাবা সৌমিত্রের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মহুয়া। বাবা নির্দেশ করছেন দরিদ্র বেকার প্রেমিককে বলে দিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধনী কন্যাকে বিয়ে করবার মত রোজগার করে তবে যেন সে আসে। উত্তরে মহুয়া শুধু একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে বাবার দিকে! অব্যক্ত ব্যথা আর প্রতিবাদের ভাষা মিলেমিশে সে হয় এক বিরল দৃষ্টি! দেখতে দেখতে কেটে গেছে তিরিশ বছর। শূন্যস্থান ভরাট হয়নি আজও। হয়ত কোন দিনই ভরাট হওয়ার নয় এ শূন্যস্থান।
শেষ ছবি বীরেশ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘আশীর্বাদ’। চিত্রগ্রাহক শক্তি বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যামেরাবন্দি করলেন মহুয়ার শেষ শট। আকুল হয়েকাঁদতে কাঁদতে ফোনে মহুয়া বলছে, ‘‘আমি ভাল নেই, আমি ভাল নেই।তুমি এসে আমাকে নিয়ে যাও। সেকি শুধুই অভিনয় ছিল?’’ ৩ জুলাইয়ের পর বাংলাদেশ চলে যাওয়ার কথা।মমতাজ আলমের ‘ঊশীলা’ ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবার আয়োজন সম্পূর্ণ। অপেক্ষা শুধু ভিসা পাওয়ার।
জবানবন্দি নিয়েছিলেন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিস
অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় জবানবন্দি নিয়েছিলেন এন সি বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিস, সি আই ডি এবং এ এন দুবে, ইন্সপেক্টর। সাক্ষী রূপে সই করেছিলেন দাদা পিনাকী রায়চৌধুরী এবং সিস্টার ঊষা। উপস্থিত ছিলেন রত্না ঘোষাল। বহু সংশয়ের নিষ্পত্তি আজও হয়নি। সেকালের সংবাদপত্রে উঠে এসেছিল অজস্র পরস্পরবিরোধী তথ্য…
মাঝরাত অতিক্রান্ত। বাড়িতে দু-দুজন পরিচারক কাজ করে। তাহলে মহুয়া কেন নিজে খাবার গরম করছিল? তিলক জানিয়েছিল ডিনারের পরে দুর্ঘটনা ঘটে। মহুয়ার বয়ান অনুযায়ী যদি সত্যি তাঁরই অসাবধানতা বশত দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে বাড়িতে চারজন মানুষের উপস্থিতি সত্ত্বেও কি করে তাঁর অবস্থা এমন ভয়াবহ হল? স্টোভ বার্স্টের একটা তত্ত্ব যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে খাড়া করা হয়েছিল এবং পুলিশ অত্য়ন্ত কম পরিমানে কেরোসিন ভরা একটি স্টোভ রান্নাঘর থেকে প্রার অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারও করেছিল তবে সেটা কোনওভাবে দুর্ঘটনার কারণ বলে বিশ্বাসযোগ্য় হয়ে ওঠে না। মহুয়ার পিঠে এবং শরীরের বেশ কিছু জায়গায় কালশিটের দাগ ছিল যার কোন ব্যাখ্যা মেলেনি। মহুয়ার মুখের ডান দিকে একটা ক্ষতচিহ্ন চোখে পড়েছিল যার বিচিত্র ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। রান্নাঘর সম্পূর্ণ অক্ষত অথচ শোওয়ার ঘরে লেপ-তোষক মায় বালিশ পর্যন্ত পোড়া। পরনের পোশাক থেকে কেরোসিনের গন্ধ বেরোচ্ছিল। পরিবারের তরফে কোন এফ আই আর হয়নি। আরও আশ্চর্যের কথা শোনা যায়, কোন এক অজ্ঞাত কারণে কিছু দিন চলার পরে তদন্ত বন্ধের নির্দেশ আসে। কে দিয়েছিল নির্দেশ এবং কেন?
বিনোদন
মোনালি বলেছিলেন তিনি বিবাহিত কিন্তু সত্যি কি তাই

জন্ম ০৩ নভেম্বর ১৯৮৫
কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত
পিতা শক্তি ঠাকুর
মাতা মিনতি ঠাকুর
দিদি মেহুলি ঠাকুর
জীবন সঙ্গী মাইখ রিখটার (অসমর্থিত)
সাল ২০২০। একটি জনপ্রিয় সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রের পাতা। সে পাতায় ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। ২০২০ সালে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে মোনালি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি বিবাহিত। তার তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে তিনি নাকি বিয়ে করেছেন। পাত্র এক সুইডিশ রেস্তোরাঁ মালিক। নাম মাইক রিখটার।
২০১৭ থেকে ২০২০। তিন বছর মোনালি তাঁর বিয়ে গোপন করেছিলেন। না কোন সংবাদ মাধ্যম। না কোন সমাজ মাধ্যম। কোথাও প্রকাশিত হয়নি মোনালির বিয়ের খবর। বিয়ের আংটি কখনও ভুলবশত ইনস্টাগ্রামে দেওয়া ছবিতে দেখা যেত। তার থেকে অনেকে মোনালির বিয়ের খবর জানতে উৎসুক থাকতেন। কিন্তু মাইক এবং মোনালি দুজনেই অত্যন্ত সফল ভাবে তাঁদের বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল
এবার আসা যাক আর একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্রের প্রসঙ্গে। তারিখ ১ আগস্ট ২০১৭। সেখানেও ছাপা হয়েছিল মোনালির একটি সাক্ষাৎকার। শুরুতে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু মোনালি বিয়ের খবর অস্বীকার করেছেন। বলেছিলেন, ‘বিয়ে নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কি আছে? বিয়ে হলে জানাবেন।’ এমন কি বয়ফ্রেণ্ডের নাম পর্যন্ত বলতে চাননি। কেন এত গোপনীয়তা, সেটা মোনানিই বলতে পারবেন।
মোনালি শক্তি ঠাকুরের ছোট মেয়ে। জন সমক্ষে প্রথম আবির্ভাব গায়িকা রূপে। অভিনয় তার পরে। বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘আলোকিত এক ইন্দু’তে প্রথম অভিনয়। মুখ্য চরিত্র ইন্দুবালার ভূমিকায়। এরপর অভিনয় করেছেন আরও দু-একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে। এক দিন রাজা সেন প্রস্তাব দিলেন তাঁর ছবিতে অভিনয়ের জন্য। ছবির নাম ‘কৃষ্ণকান্তের উইল।’ মোনালিকে, রাজা সেন ভ্রমরের চরিত্রে ভেবেছিলেন।
বিনোদন
টিভি থেকে সিনেমা এবং রাজনীতি চিরঞ্জিত সবেতে সফল

দীপক ওরফে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের এক সফল অভিনেতা এবং পরিচালক। তিনি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট শায়লা চক্রবর্তীর ছেলে। এছাড়াও তিনি একজন রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য।
চলচ্চিত্র তালিকা
| সাল | চলচ্চিত্র/ ধারাবাহিক | চরিত্র | মন্তব্য/পুরস্কার |
| ১৯৮১ | সোনায় সোহাগা | অভিনেতা | |
| ১৯৮৯ | মর্যাদা | পরিচালক | |
| ১৯৯৪ | ফিরিয়ে দাও | পরিচালক | |
| ১৯৯৫ | কেঁচো খুঁড়তে কেউটে | অভিনেতা এবং পরিচালক | |
| ১৯৯৫ | সংসার সংগ্রাম | পরিচালক | |
| ১৯৯৬ | ভয় | পরিচালক | |
| ২০০০ | বস্তির মেয়ে রাধা | পরিচালক | |
| ২০০২ | মানুষ অমানুষ | পরিচালক | |
| ২০১৪ | চতুষ্কোণ | অভিনেতা | |
| ২০১৬ | ষড়রিপু | অভিনেতা | |
| ২০১৬ | কিরীটী রায় | কিরীটী রায় | অভিনেতা (নাম ভূমিকা) |
আরও পড়ুন: পদ্মিনীর নাচ দেখে রাজ কাপুর তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন
বিনোদন
নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে

ছোটবেলায় নাচতে ভালো লাগত। আশাজি সম্পর্কে মামি। মামির গান খুব পছন্দ। মামির গানে নাচতে দারুণ লাগে। নাচের মুদ্রা কিন্তু নিজস্ব। সে মুদ্রা কেউ শেখায়নি। গান আশাজির, স্টেপ নিজের। কোন এক অনুষ্ঠানে, পদ্মিনী এভাবেই নাচছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ কাপুর। দেখছিলেন পদ্মিনীর নাচ। নাচ দেখে রাজ কাপুর বলেছিলেন আমার ছবিতে অভিনয় করবে। পদ্মিনীর তখন কি এমন বয়স। বলিষ্ঠ স্বরে বলেছিলেন, আমি তো অভিনয় করি। এই আত্মবিশ্বাস রাজের ভালো লেগেছিল। পদ্মিনী মনে করেন, সম্ভবত এই কারণে রাজ কাপুর তাঁকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিতে নিয়েছিলেন।
পিতা পন্ধরীনাথ কোলহাপুরী। মা নিরুপমা কোলহাপুরী। তিন বোনের মধ্যে পদ্মিনী কোলহাপুরী দ্বিতীয়। বড় বোন শিভাঙ্গী কোলহাপুরীকে বিয়ে করেছেন শক্তি কাপুর। ছোট বোন তেজস্বিনী কোলহাপুরীও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
পদ্মিনীর ঠাকুরদা পণ্ডিত কৃষ্ণ রাও কোলহাপুরী এবং লতাজি, আশাজির পিতা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ‘বলবন্ত নাটক আকাদেমি’তে এক সাথে কাজ করেছেন। পদ্মিনীর মা নিরুপমা (পন্ধরীনাথের স্ত্রী) ছিলেন পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের সৎ বোন। সেই সূত্রে, পদ্মিনী আবার লতাজি এবং আশাজির ভাগ্নী।
আরও পড়ুন: ঋষিকেশ বহিরাগত হয়েও বলিউডে জায়গা করে নিয়েছিলেন
পদ্মিনীর মা নিরুপমা ছিলেন কোঙ্কণী ব্রাহ্মণ সন্তান। বসবাস ছিল কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে। বাবার তরফে, পদ্মিনীর পূর্ব পুরুষের বসবাস ছিল মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে। মূলত পিতৃ সূত্রে, পদ্মিনীর নামের সাথে যুক্ত হয়েছে কোলহাপুর।
মধ্যবিত্ত মহারাষ্ট্রীয় কোঙ্কণী পরিবারের সন্তান, পদ্মিনীর ছোট বেলা কেটেছে প্রবল দারিদ্রের মধ্যে। পদ্মিনী দেখেছে, সংসার চালাতে বাবা কেমন হিমশিম খেতেন। আয় বাড়াতে, পন্ধরীনাথ গান শেখাতে শুরু করেছিলেন। তাতে অবশ্য সংসারের হাল ফিরেছিল। তবে তা সেরকম কিছু নয়।

